রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ০৬ মার্চ ২০১৮

উবার, পাঠাওসহ অন্যান্য মোবাইল ফোন অ্যাপভিত্তিক রাইডশেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার নীতিমালা বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) থেকে কার্যকর হচ্ছে। রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা, ২০১৭ কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করে সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা, ২০১৭ এর গেজেট জারি করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

রাজধানীতে গণপরিবহন সংকটের মধ্যে গতবছর প্রথম কার্যক্রম শুরু করে রাইডশেয়ারিং সার্ভিস উবার। এরপর দ্রুত এ জাতীয় সেবা সম্প্রসারিত হতে থাকে। কিন্তু এ ধরনের সেবার জন্য কোন নীতিমালা না থাকায় প্রশ্ন উঠে। এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা করে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগ। নীতিমালা অনুযায়ী রাইডশেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য বিআরটিএ’র কাছ থেকে রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্তির সনদ নিতে হবে। মোটরযানের মালিককেও এই সার্টিফিকেট নিতে হবে।

রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) থাকতে হবে। আর যদি কোম্পানি হয় তবে পাবলিক-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির যে শর্তাবলী সেগুলো মেনে চলতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান রাইডশেয়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে বিআরটিএ’র নির্ধারিত সংখ্যক মোটরযান নিয়োজিত করতে হবে। রাইডশেয়ারিং কার্যক্রমের জন্য গাড়ি সংখ্যার সীমা দেয়া আছে নীতিমালায়। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ডিটিসিএ অনুমোদিত এলাকার জন্য কমপক্ষে ১০০টি, চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য ৫০টি ও দেশের অন্যান্য মহানগর শহর এলাকার জন্য কমপক্ষে ২০টি মোটরযান থাকতে হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় ব্যক্তিগত মোটরযান যেমন মোটরসাইকেল, মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তি সনদ পাওয়ার পর রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোটরযানের মালিক ও চালকের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি করতে হবে। যেখানে সব পক্ষের অধিকার ও দায়-দায়িত্বের বিষয় উল্লেখ থাকবে। মোটরযান মালিক বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এক মাস আগে নোটিশের মাধ্যমে চুক্তি বাতিল করতে পারবে।

নির্ধারিত স্ট্যান্ড ও অনুমোদিত পার্কিং স্থান ছাড়া কোনো রাইডশেয়ারিং মোটরযান যাত্রী সংগ্রহের জন্য যেখানে সেখানে অপেক্ষমাণ থাকতে পারবে না বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। নীতিমালার কোন শর্ত ভঙ্গ করলে প্রতিষ্ঠানের এনলিস্টমেন্ট সনদ বাতিল ও কার্যক্রম বন্ধসহ দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরএমএম/ওআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।