দখল-দূষণ রোধ করে শীতলক্ষ্যা বাঁচানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০১ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৮

 

দখল-দূষণ, ভরাট রোধ করে শীতলক্ষ্যা বাঁচানোর দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনের এ দাবি জানানো হয়। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সহ ১৭ টি পরিবেশবাদী  সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিল্প কারখানার বেপরোয়া দখল, দূষণ ও ভরাটের ফলে শীতলক্ষ্যা নদীর অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখিন। কারখানাগুলোতে শিল্প বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইটিপি স্থাপন করলেও অনেকে তা সার্বক্ষণিক চালু রাখছে না। ফলে দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। দখল-দূষণ, ভরাট রোধ করে শীতলক্ষ্যা বাঁচাতে হলে অবিলম্বে নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও কারখানায় সার্বক্ষণিক ইটিপি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

পবা’র চেয়ারম্যান সভাপতি আবু নাসের খান বলেন, বিভিন্ন কলকারখানায় উৎপাদিত বিষাক্ত বর্জ্য, টেক্সটাইল মিলের রাসায়নিক বর্জ্যসহ অন্যান্য বর্জ্য সরাসরি নদীতে না ফেলে ইটিপির মাধ্যমে পরিশোধন করতে হবে এবং ইটিপি সর্বক্ষণ চালু রাখতে হবে। এছাড়াও নরসিংদীর পলাশসহ শীতলক্ষ্যার দু’পাড়ের অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।

বাঁচাও শীতলক্ষ্যা নদী আন্দোলন-এর আহ্বায়ক বোরহান মেহেদী বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতে বালু তুলে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা রাতারাতি অসম নদী ড্রেজিং করার ফলে পাশ্ববর্তী গ্রামসমূহ ভাঙনের কবলে পড়েছে। তাছাড়া নদীর তীর কেটে নির্বিচারে বালুদস্যুতার ফলে ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বক্তারা বলেন, শিল্প বাণিজ্য বিকাশে নদীর রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিশ্বের তাবৎ বড় বড় নগর ও শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। কেননা শিল্প কারখানার কাঁচামাল পরিবহন আর উৎপাদিত পণ্য বিপণনে সহজতর ব্যবস্থা নদী সূত্রেই মেলে। শিল্প কারখানার পানির চাহিদা নদী থেকেই মেটানো হয়। শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থায় নানা উপায়ে উপকরণ হিসাবে নদীকে ব্যবহার করা হয়। পরিবেশ দূষণের বহুবিধ সমস্যা নিরসন নদীর পানি দিয়েই করা হয়।

এসময় আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: নদীর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ময়লা-আবর্জনা ও রাসায়নিক বর্জ্যরে দূষণ থেকে নদীটিকে রক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নদী তীরবর্তী কারখানাগুলোকে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) ব্যবহারে বাধ্য করতে হবে ও সবসময় চালু রাখতে হবে।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, পবা’র সহ-সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, পুরান ঢাকা নাগরিক অধিকার উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সুবন্ধন সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি  হাবিবুর রহমান, বাঁচাও শীতলক্ষ্যা নদী আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহ্বুব সৈয়দ প্রমুখ।

এএস/ওআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।