ব্যর্থ হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ
গত হজ মৌসুমে হাজিদের সাথে প্রতারণা ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এজেন্সির ব্যর্থতা প্রমাণিত হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলেরও সুপারিশ করে কমিটি।
জাতীয় সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এগারতম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আফতাব উদ্দীন সরকার, রওশন আরা মান্নান এবং সাবিহা নাহার বেগম অংশ নেন।
এসময় বিভিন্ন হজ এজেন্সির ব্যর্থতা এবং তাদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থাসমূহের উপর আলোচনা করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, অনেক ট্রাভেল এজেন্সি হজ নীতিমালা মানছে না। কেউ কেউ বেশি টাকা নিয়েও সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছে না। আবার অনেক এজেন্সি টাকা নিয়ে হজে পাঠাতে পারছে না। এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বৈঠকে দেশ ও জাতির স্বার্থে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম তথা রানওয়ে স্ট্রেংথেনিং এবং রানওয়ে এক্সেটেনশন এর কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করার সুপারিশ করা হয় এবং আগামী বৈঠকে উন্নয়ন কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ পূর্বক একটি রোডম্যাপ কমিটির সামনে উপস্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এসএইচএস/আরআই
