শ্রমিক মালিকদের সমন্বয়ে মজুরি নির্ধারণের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ০১ মার্চ ২০১৮

তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জীবন যাত্রার ব্যয় ও কারখানা মালিকদের সক্ষমতার বিষয়ে সমন্বয় করে মজুরি নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিজিএমই ভবনের অ্যাপারেল ক্লাবে 'লিড গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড শিরোমনি' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বিজিএমএইর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণে তাদের প্রয়োজন ও কারখানার সক্ষমতা বিবেচনা করে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধাণের দাবি জানালে তাকে সমর্থন জানিয়ে বনমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বিজিএমইএ'র সহযোগিতায় ইউনাইটেড স্টেস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) ও গ্রিন বিজনেস সার্টিফিকেশন ইন কর্পোরেট’র যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের শীর্ষ ১৩টি গ্রিন ফ্যাক্টরিকে পুরস্কার দেয়া হয়।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি নিয়ে একটা সময় নেতিবাচক ধারণা ছিল। এখন গর্ববোধ করি। কারণ সারা বিশ্বে সবুজ কারখানার র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা প্রথম ১০টি কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের। দেশের ১৩টি কারখানা এখন লিড প্লাটিনাম রেটেড।

এছাড়া ৬৭টি কারখানা ইউনাইটেড স্টেস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল থেকে লিড সনদ পেয়েছে। আর ২৮০টি কারখানা পাইপ লাইনে আছে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতের গ্রিন ফ্যাক্টরি মাত্র ৫টি। আর পাইপলাইনে আছে মাত্র ২০টি। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকেই আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে আছি।

দেশের ৪০ লাখ মানুষ তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, 'বর্তমানে পোশাক শিল্পের রফতানি আয় প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। আশা করি, আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে তা ৫০ থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।

অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যকারীদের উদ্দেশে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের ব্যাপারে আমরা সচেতন। নতুন ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শ্রমিকদের প্রয়োজনীয়তা ও সক্ষমতা বিবেচনা করেই মজুরি বোর্ড মজুরি ঘোষণা করবে।

তাই কেউ ১৬ হাজার বা ১৮ হাজার বলে শ্রমিকদের উস্কানি দেবেন না। মজুরির বিষয়টি ওয়েজ বোর্ডের ওপর ছেড়ে দেন। তৈরি পোশাক রফতানিতে নির্ভরতা কমিয়ে অন্য খাতে বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, চামড়া ও ফুটওয়ার শিল্প-এ দুটি খাত রফতানিতে ভালো অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তাই খাত সংশ্লিষ্টদের রফতানি বাড়াতে এগিয়ে আসতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোপাল কৃষ্ণনান পাদনামাভন, রেমি হোল্ডিংসয়ের মীরান আলী, প্ল্যামি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হকসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

লিড গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ১৩টি কারখানা হলো- রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড, তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড, কলামবিয়া ওয়াশিং প্লান্ট লিমিটেড, ইকোটেক্স লিমিটেড, এসকিউ সেলসিয়াস ইউনিট-২ লিমিটেড, কানিজ ফ্যাশন লিমিটেড, এসকিউ বিরিকিনা লিমিটেড, এসকিউ কোলব্লাংক লিমিটেড এবং এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড।

এসআই/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।