শার্শায় অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার স্কুলছাত্রী


প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ২৩ জুলাই ২০১৫

যশোরের শার্শায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সহপাঠীর ছোঁড়া অ্যাসিডে সুমাইয়া আক্তার (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখের একাংশ দগ্ধ হয়েছে। শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বইকোলা গ্রামে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অ্যাসিড নিক্ষেপকারী বখাটে শামীমের বাবা খলিলুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।

দগ্ধ সুমাইয়া ওই গ্রামের আক্তারুজ্জামানের মেয়ে এবং কায়বা বাইকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

সুমাইয়া জানায়, স্কুল ছুটির পর সহপাঠীদের সঙ্গে সে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় স্কুলের অদূরে হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম বল্টুসহ ৪/৫ জন তাকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। কিন্তু পিঠে স্কুলব্যাগ থাকায় সে রক্ষা পায়।

প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় শামীম দ্বিতীয় দফায় সুমাইয়ার মুখ লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়ে। এ সময় সে ওড়না দিয়ে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। নিক্ষিপ্ত অ্যাসিডের কিছু অংশ তার মুখে লাগে। ওই অবস্থায় বাড়ি ফিরলে পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়াকে বাঁগআচড়া জোহরা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সুমাইয়ার মা আবিরন নেছা ও চাচা রেজাইল হক জানান, ২৭ রমজানে একই গ্রামের খলিলুরের ছেলে শামীম সুমাইয়াকে উক্ত্যক্ত করেছিল। তখন সুমাইয়ার বড় ভাই রবিন প্রতিবাদ করলে দু’পরিবারের মধ্যে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। ঈদের ছুটি শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শামীম ও তার বন্ধুরা মিলে সুমাইয়াকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রোগীর স্বজনদের বক্তব্য অনুযায়ী এবং স্কুলব্যাগ পুড়ে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সুমাইয়া অ্যাসিডদগ্ধ হয়েছে। প্রতিরোধের কারণে নিক্ষিপ্ত অ্যাসিড পুরোটা সুমাইয়ার মুখমণ্ডলে লাগেনি। ছিটকে এসে তার কপাল ও নাকের কিছু অংশ ঝলসে গেছে ও ফোসকা পড়েছে। তবে কোনো প্রকৃতির অ্যাসিড তা এখনই বলা সম্ভব নয়।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, মেয়েটিকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দেয় শামীম। কিন্তু মেয়েটি প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তার মুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে শামীম। স্কুলছাত্রীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্ত শামীমের বাড়ি থেকে তাকে না পেয়ে তার বাবা খলিলুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মো. জামাল হোসেন/এসএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।