গাজীপুরে ট্রেন ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৮
গাজীপুর মহানগরীর হায়দারাবাদ এলাকায় ডেমু ট্রেন ও অটোরিকশার সংঘর্ষে আট যাত্রী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলরুটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন শিশু ও চারজন পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন, নরসিংদী জেলা সদরের জিতরামপুর গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৩৬), তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৩০), আল-আমিন (২৭), চুন্নু মিয়া (২৮) এবং চালক ও তিন শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শিশু তিনটির বয়স আনুমানিক ৮, ৫ ও তিন বছরের। ধারণা করা হচ্ছে-শিশু তিনটি শাহ আলম ও পিয়ারা বেগম দম্পতির। নিহতরা সবাই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে হায়দরাবাদ এলাকায় একটি অটোরিকশা রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জয়দেবপুরগামী ডেমু ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি ট্রেনের সামনের অংশে আটকে যায়।
চালক ট্রেনটিকে থামানো চেষ্টা করলে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রেনটি থামে। এ সময় স্থানীয়রা সিএনজি অটোরিকশাটিকে ট্রেনের সামনে থেকে টেনে আলাদা করেন। ওই আধা কিলোমিটার জুড়ে রেল লাইনের পাশে নিহতদের মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে।
খবর পেয়ে জয়দেবপুর জংশন ফাঁড়ি পুলিশ, জয়দেবপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আল-আমিনের চাচা শুক্কুর আলী জানান, শাহ আলম ও পিয়ারা বেগম দম্পতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের খাইলকুর এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটি শেষে তারা গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জিতরামপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে খাইলকুর আসার পথে হায়দরাবাদ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মাজারের পার্শ্বে রেলক্রসিং এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দাদন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. আমিনুল ইসলাম/এআরএ/এএ/বিএ/আরআইপি