প্রশ্ন ফাঁসের নজরদারি অত্যন্ত দুরূহ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে ট্রেজারি-নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণ পর্যায়ে প্রায় ২৭ হাজার কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োজিত থাকেন। এ পর্যায়ে যে কোনো একজন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকি থেকে যায়। বিপুলসংখ্যক ব্যক্তির ওপর নজরদারি নিশ্চিত করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার।

জাতীয় সংসদে বুধবার পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির কারণে অযোগ্যরা জিপিএ পাচ্ছেন সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন-মুদ্রণ ও বিতরণের স্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিজি প্রেসে প্রশ্নপত্র মুদ্রণের সঙ্গে জড়িতদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা, প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও ট্রাংকজাত করার সময় তদারকি দল গঠন, পরীক্ষার সময়সূচি ও পুন:নির্ধারণ করে দুটি বিষয়ের পরীক্ষার সময়ে ব্যাপ্তি কমিয়ে পরীক্ষার সময়কাল কমিয়ে আনা ইত্যাদিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।

এমনকি পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের সুবিধা-সম্বলিত ঘড়ি, কলম যে কোনো অনুমোদনহীন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খোলার নির্দেশনা জারি করা হয়। পরীক্ষা শুরুর অল্প কিছু সময় আগে-পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ আসে।

সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের গুজবের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে ৫২টি মামলায় ১৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামীতে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষাসমূহ বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের পরামর্শে পরীক্ষা পদ্ধতিতে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে একটি বিচার বিভাগীয় এবং একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।

এইচএস/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।