অভিনয়ই আমার প্রথম প্রেম
ছিলেন গ্রামের এক দুরন্ত মেয়ে রেনু। বাংলা চলচ্চিত্রের রুপালি আলোয় নিজেকে বদলে নিয়েছেন। অনেক কষ্টের অতীত পেরিয়ে আজ তিনি দর্শক নন্দিত রোজিনা। এখন আর তাকে চলচ্চিত্রে দেখা যায় না। বিগত বছরগুলোতে মাঝেমধ্যে হাজির হয়েছেন নাটক-টেলিফিল্মে। কখনো অভিনয়ে, কখনো আবার অভিনয়-পরিচালনা দু’টোতেই। তবে দেশে তিনি অনিয়মিত। লন্ডন থেকে কেবল কাজের টানেই ফিরে আসেন ঢাকায়। সম্প্রতি ঘুরে গেলেন আবারো। এই ফাঁকে তৈরি করেছেন নিজের সোনালি অতীত দিনের জনপ্রিয় ছয়টি গানের রিমেক ভিডিও। দেশ ছাড়ার আগে উত্তরার নিজ বাসাতে ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তিতূল্য অভিনেত্রী কথা বললেন জাগো নিউজের সাথে। আলাপের ফাঁকে রোজিনা শোনালেন নিজের ছোটবেলা, সিনেমায় আসার গল্প, অর্জন আর সমকালীন ভাবনার কথা।সঙ্গে ছিলেন লিমন আহমেদ
আপনার পরিবার, জন্ম, ছোটবেলা সম্পর্কে জানতে চাই
আমার বাবা মো. জালাল উদ্দিন ছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী আর মা খোদেজা বেগম ছিলেন গৃহিণী। চার বোন আর দুই ভাইয়ের মধ্যে আমি সবার বড়। ছোট ভাই লিবু ছাড়া আর অন্য দুই বোন ফরিদা, বেবী, মায়া ও ভাই পলাশ এ দেশেই যার যার কাজে ব্যস্ত। আর আমার জন্মের সময়টা আন্দাজ করি বৈশাখ মাস ছিলো। রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দতে নানাবাড়িতে। অনেক আদরে কেটেছে আমার শৈশব। কারণ আমিই ছিলাম আমার বাবা-চাচাদের প্রথম সন্তান।
চলচ্চিত্রের প্রতি ঝোঁকটা এলো কী করে
ঠিক যেটুকু বয়সে সিনেমা, গান বুঝা যায় তখন থেকেই এসবের প্রতি এক ধরনের নেশা কাজ করতো। সিনেমা দেখতে হবে, গান শুনতেই হবে। নইলে দিনটাও ভালো যেত না, রাতেও ঘুমাতে পারতাম না। এমন মনযোগ দিয়েই ছবি দেখতাম আমি, একসময় নিজেকে নায়িকার সাথে মিলিয়ে ফেলতাম। ভাবতাম, ইশ যদি আমিও অভিনয় করতে পারতাম। সেটা যে একসময় সত্যি হবে কে ভেবেছিলো।
আপনার দেখা প্রথম চলচ্চিত্র কোনটি
জীবনে প্রথম তিনি সিনেমা দেখেছি রাজবাড়ীর চিত্রা সিনেমা হলে। ছবিটি ছিল ‘সাত ভাই চম্পা’। ছবিটি দেখার পর স্কুলে এসে নিজের বয়সী বান্ধবীদের গল্পের মত মুখস্ত বলে শুনাতাম। সেইসব কথা মনে হলে আজ মনটা অন্যরকম হয়ে ওঠে।
এবার জানতে চাইব চলচ্চিত্রে আপনার সম্পৃক্ত হবার বিষয়ে
রাজবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে শুরু হয় প্রতিনিয়ত সিনেমা দেখার অভ্যাস। আমার মা এ বিষয়টি একদম সহ্য করতে পারতেন না। তার ছিল একটাই কথা, আগে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোল, তারপর আনন্দ, ফূর্তি। তবে বাবা একটু নরম স্বভাবের ছিলেন বিধায় দুষ্টুমী করলেও ছাড় পেয়ে যেতাম। একবার বেড়াতে এলাম ঢাকাস্থ মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনীতে। সেখানে বাবার এক বন্ধুর বাসা। ঢাকায় আসলে সেখানেই ওঠতে হতো আমাদের। আমি বাবা মায়ের সাথে আসতাম। মনে পড়ে, সে সময় আত্মীয়দের সাথে ঢাকার মধুমিতা আর গুলিস্তান হলেও প্রচুর সিনেমা দেখেছি। কবরী আর শাবানার ভীষণ ভক্ত ছিলাম। মনের অজান্তে তখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কবরীর মতো হাসার চেষ্টা করতাম। শাবনার হেয়ার স্টাইল নকল করতে গিয়ে কপালের সামনে চুলকে চাঁদের মতো বাঁকা করে রাখতাম। আর সিনেমার পোস্টার যদি কোথাও হাতের নাগালে পেতাম, সেই পোস্টার বাসার দেয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখতাম। এসময় ঢাকার বন্ধু আলীজান আর সোলেমানের সাথে পরিচয়। আলীজান, সোলেমান আর তার বন্ধুরা মিলে নাটকের ক্লাব করতেন। প্রতি বছরই তারা নাটক মঞ্চস্থ করতেন। তাদের কাছে আমি নায়িকা হবার ইচ্ছের কথা প্রকাশ করি। তারাই পরে আমাকে নায়িকা হতে সাহায্য করেছে। একদিন কালীদাস বাবুর পরিচালনায় জানোয়ার ছবির শুটিং দেখতে গেলাম আলীজান, সোলেমানসহ আরো দু’তিনজন। সংসদ ভবনের খেজুর বাগানে তখন শুটিং চলছিল। সেটা আমার দেখা প্রথম কোনো ছবির শুটিং। দৃশ্য ধারণ হবে এমন যে শর্বরী নাচবেন, দারাশিকো মদপান করবেন আর তা উপভোগ করবেন। তো পরিচালক উপস্থিত দর্শকের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে যেতে বললেন। তার কাজ হবে ট্রেতে করে মদের বোতলটা দারাশিকোকে দিয়ে আসা। আমি নিজে থেকেই বললাম, যাব। একটি প্যান্ট আর শার্ট দেয়া হলো। তা পরিধান করে রোমাঞ্চিত মনে গেলাম শুটিংয়ে। সেই শুরু।
আপনার প্রথম ছবি কোনটি
আমার শুরুটা হুট করে হলেও ছিলো অনেক নাটকীয়তায় ভরপুর। দুই দুইটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েও সেগুলোতে কাজ করা হয়নি আমার। এরপর ১৯৭৭ সালে এফ কবীর চৌধুরীর ‘রাজমহল’ ছবিতে চিত্রনায়ক ওয়াসিমের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। শুটিং শেষ হবার পর ১৯৭৮ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। সেটিই ছিলো আমার প্রথম ছবি।
আপনার নাম রেনু ছিলো, রোজিনা হলো কী করে
সেটাও এক ইতিহাস। সাগর ভাসা ছবিতে যখন কাজ করি তখনও পারিবারিক রেনু নামেই সবাই চিনতেন। পরিচালক মোহসীন তার আয়না ছবিতে কাস্ট করার পর নাম দেন শায়লা। শায়লা নামেই মোহসীন, মতিউর রহমান পানুসহ সে সময়ের প্রথিতযশা পরিচালকদের বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মহিউদ্দীনের ‘মিন্টু আমার নাম’ ছবিতে কাজ করার সময় নাম বদলে শায়লা থেকে রোজিনা করা হলো। তখন থেকেই পারিবারিক নাম রেনু আর পরিচালক মোহসীনের দেয়া শায়লা নামটি আড়াল হয়ে যায়। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো এই ছবির জন্য এত কাণ্ড ঘটিয়েও শেষ পর্যন্ত ছবিতে কাজ করা হয়নি। আমার চরিত্রে স্থানান্তরিত হন ববিতা।
কতগুলো ছবিতে কাজ করেছেন আপনি
তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে যেহেতু বললে আনুমানিক তাই বলছি ২৮০টিরও বেশি হবে। যার শুরুটা ১৯৭৮ সালে রাজমহল দিয়ে আর শেষ হয়েছে ২০০৪ সালের ‘রাক্ষুসি’ দিয়ে। অনেকটা সময়... তাই না... (স্মৃতিকাতর রোজিনা)
নিঃসন্দেহে অনেকটা সময় এবং সেটি অবশ্যই সাফল্যে মণ্ডিত।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক স্মৃতি যেমন আছে তেমনি অনেক স্বীকৃতিও আপনি পেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কী
আসলে এ জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য বা অর্জন আমি রোজিনা। অনেক সংগ্রাম করেছি, কষ্ট করেছি। কেউ আমাকে হাত ধরে নিয়ে আসেনি। কেউ আমার পিছনে দাঁড়িয়ে শক্তি বা সাহস যোগায়নি। আমার কাছে বড় স্বীকৃতি আমি রোজিনা। তারপর বলবো আমি চিরদিন আমার ভক্ত-দর্শকদের কাছে ঋণী। তারা না চাইলে আমি আজকের রোজিনা হতাম না। নিজের চোখেই তো দেখেছি, কতোজন কতো পরিশ্রম করেছে। সবাই আমার এই জায়গাটিতে আসতে পারেনি। আর চলচ্চিত্রের আঙ্গিনায় আমি আমজাদ হোসেন পরিচালিত কসাই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সর্বপ্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই। এরপর মতিন রহমান পরিচালিত জীবনধারা ও কবীর আনোয়ার পরিচালিত দিনকাল ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছি। বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছি আমি। আর দেশের বাইরে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের যৌথ প্রযোজনায় ‘হাম সে হায় জামানাত’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৮৬ সালে পাকিস্তান থেকে নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়ছি। এ ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক নাদিম। এছাড়াও নপাল, শ্রীলঙ্কার সাথেও কোপ্রোডাকশনের ছবিতে অভিনয় করেছি আমি। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘অবিচার’-এ অভিনয় করেছি সেসময়ের বোম্বের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে। এই কাজগুলোকেও আমি আমার ক্যারিয়ারের জন্য বিশাল প্রাপ্তি মনে করি।
আপনার নিজের অভিনয় করা প্রিয় কিছু ছবির নাম বলবেন
নিজের কাজ নিজের কাছে সবসময়ই ভালো লাগে। এখন তো আর ব্যস্ততা নেই। লন্ডনে বসে নিজের বাসায় একা একা নিজের ছবিগুলো দেখি। সবগুলোই ভালো লাগে আমার কাছে। তবে তারমধ্যে উল্লেখ করা যায়- অভিমান, শীষনাগ, রূপের রাণী চোরের রাজা, চম্পাচামেলী, মোকাবেলা, রাজনন্দিনী, স্মৃতি তুমি বেদনা, আখেরি নিশান, গাঁয়ের ছেলে, হুর-এ-আরব, রাজকন্যা, সংঘর্ষ, শাহী দরবার, আনারকলি, কসাই, ঝুমকা, বিনি সুতার মালা, আলাদিন আলী বাবা সিন্দাবাদ, সুখের সংসার, রাখে আল্লাহ মারে কে, পরদেশি, সুলতানা ডাকু, পরীস্থান, দুলারি, শিরি ফরহাদ, বাহাদুর মেয়ে, নাগ মহল, ডাকু ও দরবেশ, তুফান মেইল, শত্রু, সবার উপরে মা, বাংলার বধূ, মাতা পিতা, রূপবান, ভাই আমার ভাই, আমার স্বামী, এই ঘর এই সংসার, আমার নাম মালতী, কুচবরণ কন্যা ইত্যাদি ছবির নাম। আর ইমপ্রেসের প্রযোজনায় মতিন রহমানের পরিচালনায় ‘রাক্ষুসি’ ছবিটাও আমার পছন্দ। নায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে কাজ করা এই ছবিটিতে কাজ করে অন্য রকম তৃপ্তি পেয়েছি আমি।
চলচ্চিত্র ছেড়ে বিগত কয়েক বছরে আপনাকে ছোট পর্দায় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে, কেন
বিশেষ কোনো কারণ নেই। আমার মনে হয়েছে এখনকার ছবিতে নারীদের প্রাধান্য নেই। আর পার্শ্ব চরিত্রে যারা কাজ করেন তাদেরকে যথাযথ সম্মান দেয়া হয় না। তাই ওপথে আর আগ্রহ দেখাইনি। আমি খুব স্বাধীনচেতা মানুষ। কারো মুখাপেক্ষী হয়ে বাঁচতে কখনোই চাইনি। তাছাড়া অভিনয় করতে পারাটাই আমার কাছে বড় কথা। বলতে পারেন অভিনয়ই আমার প্রেম। সেটি যেখানেই হোক। ছোট পর্দাতে কাজ করে আমি আনন্দিত। বেশ কিছু নাটক এরইমধ্যে নির্মাণ করেছি এবং অভিনয়ও করেছি। এসবের মধ্যে শরৎচন্দ্র, রবিঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও হুমায়ূন আহমেদসহ অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিকদের গল্প নিয়ে কাজ করেছি। সেগুলো বেশ প্রশংসিতও হয়েছে। তবে ইচ্ছে আছে চলচ্চিত্র পরিচালনা করবো। এ বিষয়ে চ্যানেল আইয়ের সাথেও কথা হয়েছে। হয়তো খুব শিগগির কিছু একটা হতে পারে।
সম্প্রতি অতীতের কিছু গান নতুন করে তৈরি করেছেন আপনি, হঠাৎ এমন ভাবনা কি করে এল
এটি হঠাৎ নয়। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম আমার জনপ্রিয় কিছু গান নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরবো। সেই ভাবনা থেকেই এই আয়োজন। লন্ডনে বসে আমি পরিকল্পনাটি করেছি। আর দেশে এসে সবার সাথে যোগাযোগ করে ছয়টি গানের ভিডিও নতুন করে তৈরি করলাম। সেগুলো হলো- দোলনা ছবির তুমি আমার কত চেনা, মানসী ছবির এই মন তোমাকে দিলাম, রাজা সাহেব ছবির ঢাকো যত না নয়নো দুহাতে বাদল মেঘ ঘুমাতে দেবে না, পুনঃমিলন ছবির এই পৃথিবীর সবকিছু হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে, অবিচার ছবির ছেড়ো না ছেড়ো না হাত, ও পুনঃমিলন ছবির এক নীড়ে দুটি পাখি। এ সব সিনেমার গানে পূর্বে আমার নায়ক ছিলেন ওয়াসিম, আলমগীর, ফারুক ও ভারতের মিঠুন চক্রবর্তী। আর এখন আমার সাথে পারফর্ম করেছেন ওমর সানি, অমিত হাসান ও জায়েদ খান। তাদের তিনজনকেই ধন্যবাদ জানাই। আর দর্শকদের বলবো গানগুলো উপভোগ করবেন আপনারা।
আজকাল প্রচুর মেয়েরা চলচ্চিত্রে কাজ করতে আসছে, আপনার অভিজ্ঞতা থেকে তাদের জন্য কী পরামর্শ রাখবেন
আজকালকার বেশিরভাগ মেয়েদের সাথেই আমার পরিচয় নেই। তাদের কাজ সম্পর্কেও খুব একটা ধারণা নেই। তাই আলোচনা বা সমালোচনায় যাওয়া উচিত হবে না। তবে যে কয়জনের কাজ দেখেছি তাদের মুখশ্রী, অভিনয়ের সাবলীলতা বেশ ভালো লেগেছে। সময় দিলে ওরা আরো পরিণত হবে। তাদের জন্য প্রথমেই বলবো অভিনয়টাকে মন থেকে ভালোবাসতে হবে। শ্রদ্ধাশীল হতে হবে কাজের প্রতি। নিজের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে লক্ষ্য পূরণে। আজকাল অভিযোগ শুনি নতুনরা সিনিয়রদের সম্মান দেয় না। এটা দুঃখজনক। সিনিয়রদের তাদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে। তাদের কাছ থেকে শিখতে হবে। নিজেকে প্রতিনিয়ত নতুন করে দর্শকদের সামনে হাজির করতে হবে। প্রমাণ করতে হবে, কেন আমি সেরা। সবার জন্য শুভকামনা। আজকে যারা কাজ করছে, করতে আসছে তাদের হাত ধরেই আমাদেও প্রিয় চলচ্চিত্রাঙ্গণ অনেক দূরে এগিয়ে যাক-শুভকামনা রইল।
সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
তোমাকেও ধন্যবাদ। জাগো নিউজের পাঠক ও আমার ভক্ত-দর্শকদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
এইচআর/এমআরআই