শিল্প প্রতিষ্ঠান মহানগরী থেকে অর্থনৈতিক জোনে স্থানান্তর হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রাজধানীসহ সব মহানগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক জোনে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

রোববার সচিবালয়ে নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখা-সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নৌমন্ত্রী বলেন, যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো শহরে আছে সেগুলো ইকনোমিক জোনে নেয়া হবে। ১১০টি ইকনোমিক জোন হচ্ছে। ঢাকাসহ সব মহানগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থনৈতিক জোনে যেতে হবে। যেভাবে হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নতুন করে কোনো শিল্প যাতে বড় বড় শহরের মধ্যে গড়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা নির্দেশনা দিচ্ছি। যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি (বর্জ্য শোধনাগার) আছে কিন্তু সচল রাখে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদফতর জরিমানাসহ বিভিন্ন কর্যক্রম শুরু করেছে। তবে তাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নদীর এক হাজার ১৫৪টি সীমানা পিলার স্থাপনের বিষয়ে আপত্তি উঠেছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, পুনঃজরিপ করে ৭৬২টি পিলার পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। বাকিটা করা হবে। আরএস-সিএস নিয়ে প্রশ্ন আছে সাইড সভা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জরিপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নদীর তীরে নতুন করে কোনো স্থাপনা কেউ যাতে না করে সে জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হবে।

‘যারা নদী দখল দূষণ করছে তাদের বার বার বলার পরও যদি আইন মোতাবেক না চলে তবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিআইডব্লিউটিএ’র বাহিনী হবে

নৌমন্ত্রী বলেন, নদীর তীরে দখল রোধে বিআইডব্লিউটিএ-এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হবে।

তিনি বলেন, নদী পথের নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ আছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার প্রশ্নে বিআইডব্লিউটিএ- একটি কর্মী বাহিনী তৈরি করা হবে। সে ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ একটি মতামত জানাবে।

শাজাহান খান বলেন, আমরা ১৩টি খাল উদ্ধারের কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। তবে উদ্ধার কার্যক্রমের পর খালগুলো নতুন করে দখল হচ্ছে।

আমরা মন্ত্রীদের প্রধান করে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে (খালের উদ্ধার কার্যক্রম) পরিদর্শন করব। যারা খাল পুনর্দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। টিমগুলোর সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। তৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নৌমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হকসহ টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।