বাংলাদেশকে ২০৮ মিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি


প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৫

জলবায়ু পরিবর্তনের বৈরী প্রভাব মোকাবেলা, জ্বালানি দক্ষতার উন্নয়ন ও শাসন ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করতে সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে ২০৮ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করবে ইউরোপের দেশ জার্মানি। বুধবার সকালে দেশটির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. থমাস হেইনরিচ প্রিঞ্জ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে তার অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের সঠিক পথে রয়েছে।

আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে জার্মান দূত এই সেক্টরে তার দেশ থেকে বিনিয়োগ আনার ব্যাপারে তার উচ্চাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বছরে গড়ে দেড় হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য জার্মান ভিসা পাচ্ছে এবং তা আরো বাড়তে পারে।

বায়োগ্যাস বাংলাদেশের সম্ভাবনার উল্লেখ করে ড. প্রিঞ্জ বলেন, তার দেশে মোট জ্বালানি ব্যায়ের ২৬ শতাংশ আসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। তিনি আরো বলেন, আমরা তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে চাই।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে জার্মানি রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি ছিলেন এক মহান বাগ্মী এবং জার্মান জনগণ তাকে উচ্চ মর্যাদা দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি তার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর সফরের উল্লেখ করে বলেন, ইতিহাস কথা বলে।

বিএনপি-জামায়াত জোটের দেশব্যাপি সন্ত্রাস ও পেট্রলবোমা হামলার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি আগুনে পুড়ে আহতদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, একটি স্বতন্ত্র বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় জার্মানি বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং স্বাধীনতার পর থেকে উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি জার্মানির টেকসই প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের এক চমৎকার গন্তব্য এবং অত্যন্ত উদার বিনিয়োগ নীতি থাকায় তিনি এখানে আরো বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিকাশমান জাহাজ শিল্পের উল্লেখ করে বলেন, এ সেক্টরে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। দেশে পৃথক বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যতম প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে তিনি জার্মানির কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।