চালের বস্তায় মূল্য লেখা না থাকলে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

গরিবের মোটা চালের দাম গত বছরের এ সময়ে কেজিপ্রতি ছিল ৩৫-৩৮ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িছে ৪৫ টাকা। আর সরু চাল বছরের ব্যবধানে ১৪-১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকায়। কোনো কারণ ছাড়াই এভাবে বাড়ছে চালের দাম।

তাই ভোক্তাদের স্বার্থে এবার চালকল মালিকদের কারসাজি ধরতে মাঠে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

জানা গেছে, কেজিপ্রতি চাল ১৫-২০ টাকা বাড়লেও চালের এ বাড়তি মূল্য যাচ্ছে না কৃষকের ঘরে। মধ্যস্বত্বভোগীরা লুফে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, কৃষকের কাছ থেকে নানা কৌশলে চাল কিনে মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে। বড় বড় চলকল মালিকেরা এ সিন্ডিকেটে যুক্ত। আর চাল নিয়ে চালবাজদের এসব অপকর্ম ঠেকাতেই অভিযানে নামছে অধিদফতর।

অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জাগো নিউজকে বলেন, নিত্য খাদ্য পণ্য চাল। আর এ চাল নিয়ে ব্যবসায়ীরা দেশের মানুষকে জিম্মি করে ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে। তাই তাদের ধরতে অধিদফতর সারা দেশে চালকলগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী চালের বস্তায় সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখও লিখতে হয়। কিন্তু চালকল মালিকরা বস্তায় তারিখ ও মূল্য লেখে না। ফলে তাদের ইচ্ছে মতো দাম বাড়ায়। তাই তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযানে নেমেছি। কারণ আইন অনুযায়ী বস্তার গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে হঠাৎ করে চালের দাম বাড়াতে পারবে না। এছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান চালের বস্তায় ওজনে কম দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অধিদফতরের এ উপ-পরিচালক বলেন, চালকল মালিকরা শুধু বাড়তি মূল্য আর ওজনেই কম দিচ্ছে না। অভিনব কায়দায় কারসাজি করছে। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি চালকলে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, সরু চালের সঙ্গে মোটা চাল মিশিয়ে বস্তায় ভরে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে।

এসআই/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।