মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের রিসিপশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:০৩ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশে সফররত মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. জে. কিউ সি বলেছেন, মিয়ানমার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত। এ জন্য রিসিপশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেও কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. জে. কিউ সি এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশ ভূমি রাখাইনে মর্যাদার সঙ্গে ও নিরাপদে ফেরার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকট অবসানে রাষ্ট্রপতি হামিদ কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি প্রত্যাবাসনের পরপরই রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনর্নিমাণ এবং তাদের জমি ও সম্পদ ফেরত দেয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ আস্থা অর্জনে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সুস্পষ্টভাবে বলেন, বাংলাদেশ সবসময় সকল দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কামনা করে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশ্বাসী। রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পারস্পরিক শান্তি নিরাপত্তা ও উন্নয়নে কাজ করতে পারে। সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে।

সাক্ষাৎকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সংশ্লিষ্ট সচিব এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।