নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ১,৬৫,৫৫০ মামলা বিচারাধীন
সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার জাতীয় সংসদে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব মামলার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৪ হাজার ৫৪৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ হাজার ৩০, রাজশাহী বিভাগে ১৬ হাজার ১২৮, খুলনা বিভাগে ১৯ হাজার ১৩৮, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজার ১৬৩, সিলেট বিভাগে ১১ হাজার ৮০৭ এবং রংপুর বিভাগে ২০ হাজার ৭৩৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মন্ত্রী জানান, এসব মামলা জট দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আরও ৪১টি ট্রাইব্যুনাল সৃষ্টির মঞ্জুরি প্রদান করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালগুলোর জন্য ২০৫টি সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগ দিয়ে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে ৫০০টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় বর্তমানে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০টি। ২৯টি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। একটি মামলার কার্যক্রম আদালত স্থগিত করেছে। মনিরুল ইসলামের (যশোর-২) প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, দেশের বিভিন্ন আদালতে জমে থাকা মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য বিচারকের শুন্য পদ পূরণসহ নতুন পদ সৃষ্টির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন, সুপ্রিম কোর্টে ডিজিটাল কজলিস্ট চালু, এডিআর এর মাধ্যমে মামলার জট কমানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এ সরকার আসার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নিম্ন আদালতে ৬৮৪ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিচারকদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনির্ভাসিটিতে ৫৪০ জন বিচারককে প্রশিক্ষণের কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৬৩ জন প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন এবং আরও ১৬০ জন বিচারকের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সরকারি আদেশ হয়েছে। ভারতের ভূপালে ৭৬ জন বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং জাইকার অর্থায়নে ১৫ জন জাপানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
আনিসুল হক জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আরও ৫টি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ৮টি মানিলন্ডারিং ট্রাইব্যুনাল, ৩টি শ্রম আদালত, ১১২টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ১৫৯টি যুগ্ম-জেলা জজ পদ সৃষ্টি, ১৯টি পরিবেশ আদালত, ৬টি পরিবেশ আপীল আদালত ও ২১৪টি সহকারী জজ আদালত সৃষ্টির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া সারা দেশে ৩৬০টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট ও সহকারী জজ আদালত পদ সৃষ্টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
এইচএস/ওআর/জেআইএম