বাংলাদেশ বেতার আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৩০ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং দেশ ও জাতির আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে বাংলাদেশ বেতার আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

আজ বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে সোমবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ক্রীড়াঙ্গণে বেতার’।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ বেতার শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামেও বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বেতারে প্রচার ছিল সাহসী ও তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ মুক্তিপাগল দেশপ্রেমিক জনতাকে উজ্জীবিত করতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বেতারের সতর্কতামূলক বার্তা সাধারণ মানুষকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশ বেতারে কৃষি, শিক্ষা, জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কার্যক্রমের পাশাপাশি সম্প্রতি ক্রীড়া ক্ষেত্রে বেতার কার্যকর অবদান রেখে যাচ্ছে।

আবদুল হামিদ বলেন, সংবাদ, সরকারের উন্নয়নমূলক কমর্কাণ্ড, নাটক, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানসহ দেশে শিল্পসংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ বেতার দেশবাসীর মনে স্থায়ী আসন গড়তে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্রীড়া আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ক্রীড়ার চলতি ধারাভাষ্য ক্রীড়ামোদী দর্শক-শ্রোতাদের কেবল উদ্বেলিত করে না, দেশকে বিশ্ব অঙ্গনে তুলে ধরতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাঠের খেলোয়াড় ও গ্যালারির দর্শকদের সাথে ক্রীড়া ভাষ্যকার শ্রোতাদের যেমন মাঠে নিয়ে যায় তেমনি তারাও জয়পরাজয়ের দোলাচলে খেলাকে উপভোগ করে।

এফএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।