রায় ঘিরে অরাজকতা করতে দেয়া হবে না
৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায় ঘিরে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
রোববার বিকেলে রাজধানীতে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
রায় পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুই হবে না। কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। যে আগুন, সন্ত্রাস একবার শুরু হয়েছিল সেটির পুনরাবৃত্তি হতে দেয়া হবে না।
‘সবাই দেশের আইন মেনে চলেন। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়’ উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজধানীর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। ডিএমপি, ডিবি, সিটিসহ সবকয়টি ইউনিটের সমন্বয়ে কাজ চলছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে পুলিশের ওপর হামলা, প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য ঘটানো হয়েছিল।
ওই ঘটনায় শাহবাগ ও রমনা থানায় দায়ের হওয়া পৃথক তিন মামলায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এ অপতৎপরতা যারা করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের অবশ্যই আইনের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, জননিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। মানুষের নিরাপত্তা রক্ষা ও রাজধানীর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।
গ্রন্থমেলার বই সম্পর্কে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাম্প্রদায়িক বই মনিটরিংয়ের জন্য একটি কমিটির গঠন করা হয়েছে। যদি কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাম্প্রদায়িক বই প্রকাশ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গোয়েন্দারা কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু গোয়েন্দাদের কাজ তো আর আপনারা দেখতে পারবেন না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেলা এলাকায় শ্লীলতাহানীসহ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মেলায় আসা সবাইকে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। সবাইকে মেটাল ও ফিজিক্যাল তল্লাশির মধ্য দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে হচ্ছে।
জেইউ/জেডএ/জেআইএম