বৃষ্টিতে শিশু পার্কে উপস্থিতি কম!


প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৫

রাজধানীর ফার্মগেট দুর্জয় নামের একটি হোটেলে বাবুর্চির চাকরি করেন শহিদুল ইসলাম ও আমেনা বেগম দম্পত্তি। রোববার দুপুর ২টার দিকে মেয়ে লাবনী ও দুই ছেলে ফারদিন ও কাওসারকে নিয়ে রাজধানীর শাহবাগ সংলগ্ন শিশু পার্কের ভিতরে কাকভেজা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

বছরে ঈদের সময় ছাড়া এ দম্পত্তি ছুটি পাননা। তাই ছুটি পেয়ে তারা তিন সন্তানকে বিনোদন দিতে শিশু পার্কে নিয়ে এসেছেন। প্রতিটি ৬ টাকা মূল্যের ২০টি টিকেট কেটেছিলেন। সন্তানদের সবগুলো রাইড চড়িয়েও চারটি টিকেট বেঁচে গেছে তাদের।

এ প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে শহিদুল ইসলাম স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, `ভাগ্যেডা খুউবই ভালা। সবগুলো রাইড চড়াইতে পারছি। অহন এই চাইরডা টিকেট দিয়া কী করুম।`



ঈদের সময়টাতে শহিদুল ইসলাম দম্পত্তির সৌভাগ্যের কারণ দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়া। ঈদের দিন ও আজ সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার শিশু পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ভিড় অপেক্ষাকৃত কম। এবারের ঈদের আনন্দ ম্লান করেছে বৃষ্টি।

রোববার দুপুরে সরোজমিন শিশু পার্ক পরিদর্শনকালে দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের (শুক্রবার ছুটির দিন) চেয়ে শিশু পার্কে মানুষের ভীড় অনেক কম। অন্যান্য বছর  ঈদের সময় শিশু পার্কের একটি রাইডে চড়তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে  দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম। এজন্য সবাই খুব সহজেই রাইডে চড়তে পারছেন। তবে সকলকেই কাকভেজা হতে হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, প্রতি বছর ঈদের সময় গড়ে প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার দর্শনার্থী আসে। শনিবার ঈদের দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৪হাজার। রোববার দুপুর পর্যন্ত এ সংখ্যা হাজার দশেকও হবেনা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উপস্থিতি অনেক কম বলে জানান তিনি।



রাজধানী মহাখালীর যমুনা গ্রার্মেন্টেসের মেশিন অপারেটর শারমিন। ১০ বছর বয়সী দেবর রাব্বি ও ছয় বছর বয়সী মেয়ে মিমকে নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরতে এসেছেন। বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে ট্রেনে উঠার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

আলাপাকালে শারমিন জানান, সারাবছর কাজে ব্যস্ত থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে কোন বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব হয়না। তাই সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও দেড়শ টাকায় সিএনজি ভাড়া করে শিশু পার্কে এসেছি। বৃষ্টিতে ভিজে মন খারাপ হলেও শিশুদের আনন্দিত দেখে বেজায় খুশি বলে জানান তিনি।
 
আমির হোসেন বাবু। শিশু পার্কের ভিতরে খেলনা বিক্রি করছিলেন। তিনি জানালেন, ঈদের দিন ১৪ হাজার টাকা খেলনা বিক্রি করেছেন। কিন্তু আজ সকাল থেকে মাত্র ৫০০ টাকার খেলনা বিক্রি করতে পারেনি।

এমইউ/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।