ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বজনদের ভিড়


প্রকাশিত: ০৭:৪২ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৫

শনিবার পালিত হয়েছে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। ঈদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে রাজধানীবাসী তাদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছেন। একইভাবে কারাগারে বন্দী আসামিদের স্বজনেরাও ভিড় করেছেন তাদের আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করার জন্য।
 
রোববার ঈদের দ্বিতীয় দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরের এই চিত্র দেখা গেছে। কারাগারের নিরাপত্তা বাড়াতে মূল গেটের সামনে ৪ টি ব্যারিকেড দিয়েছে জেল পুলিশ। তবে স্বজনদের ভিড়ের কারণে ঢাকা পড়েছে এগুলো।
 
প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন সকল বন্দিদের সঙ্গে আপনজনদের দেখা করার বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। তাই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটে ছিল বন্দিদের মা, স্ত্রী, ভাই, বোন, ও বন্ধুদের ভীড়।
 
রত্না আক্তার নামে এক বন্দির মা জাগো নিউজকে জানান, রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। ঈদের আগে তাকে বের করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তাই ছেলেকে দেখতে চলে আসলাম। সঙ্গে তার পরিবার আর সন্তানেরাও এসেছে।
 
ঈদ উপলক্ষে এদিন কারাগারে বন্দিদের ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগারের বাইরে অনেককে টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
 
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, ঈদ ও এর পরের দিন কারাবন্দীদের সঙ্গে স্বজনেরা দেখা করতে পারবেন এবং অন্য দিনের তুলনায় কথা বলার জন্য একটু বেশি সময় পাবেন। এ দিনগুলোতে ঘরের তৈরি খাবারও খেতে পারে আসামীরা। তবে জেল কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাইয়ের পরেই তারা স্বজনদের খাবার খেতে পারবেন।
 
এদিকে স্বজনদের এই ভিড়কে কেন্দ্র করে কারাগারের আশপাশের এলাকায় জমজমাট হয়ে উঠেছে মোবাইল, মানিব্যাগ বিক্রির জমা রাখার ব্যবসায়। আসামিদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে এগুলো নেয়ার বিধান নেই। তাই ৫০-২০০ টাকার বিনিময়ে স্বজনদের মোবাইল-মানিব্যাগ জমা রাখছেন দোকানিরা।
 
এআর/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।