মালয়েশিয়ায় ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা পবিত্র ঈদ-উল ফিতর পালন করেছেন। শুক্রবার মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রবাসীরা কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাতে অংশ নিয়েছেন।
সকাল আটটায় জাতীয় মসজিদ নেগারাতে মালয়েশিয়ার বৃহত্তম ঈদের জামাতে প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজ্জাক ঈদের নামাজ আদায় করেন।
অন্যান্য বছর শহরের প্রাণ কেন্দ্র কোতারায়া বাংলা মার্কেটে কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে নামাজ অনুষ্টিত হলেও এ বছর অনুমতি না পাওয়ার কারণে মসজিদ নেগারা (জাতীয় মসজিদ) এবং মসজিদ জামেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এ দিকে কোতারায়া বাংলাদেশি মসজিদ কমিটি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ মসজিদ জামেকে কোন ঘোষণা ছাড়াই মসজিদ কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশী প্রবাসীদের স্বার্থে ২য় জামাতের আয়োজন করেন। ২য় জামাতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী নামাজে অংশ গ্রহণ করেন।
নামাজ শুরু হওয়ার আগে প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মকবুল হোসেন মুকুল ,বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাশেদ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক এস এম নিপু প্রশাসনের জটিলতার কারণে ঈদের নামাজের আয়েজন করতে না পারায় দু:খ প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে সুন্দর পরিবেশে বাংলাদেশীরা যাতে ঈদের নামাজ পড়তে পারেন সে ব্যবস্থা করছে মালয়েশিয়া সরকার।
সুবাংজায়া বাংলাদেশি মসজিদ, শ্রীমুডা, ক্লাং, পেনাং, সুঙ্গাইবুলু, পুচং, মালাক্কা, পেনাং, জহুরবারু এবং কেপং জানান্নাতুল ফেরদাউস, সূরাও বায়তুল নুর বাংলাদেশি মসজিদেও প্রবাসী মুসলিদের ঢল নামে।
নামাজে উপস্থিত ছিলেন,সূরাও কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান কামাল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির। নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসীরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
নামাজ পড়তে আসা বরিশালের মো. শাহাদাত হোসেন লিটন ও নোয়াখালীর মো: দেলোওয়ার হোসেন বলেন, পরিবার পরিজন ছাড়া প্রবাসে ঈদ করা সত্যি কষ্টকর। তারপরও ছুটির দিনে প্রবাসী বন্দুদেরকে কাছে পাওয়ায় ঈদ কিছুটা ভালো কাটছে।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা,বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাব মালয়েশিয়া, জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ,ফেনী সমিতি মালয়েশিয়া, ও সুশীল সমাজের নেতারা প্রবাসীদেরকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল নানা আয়োজন।
এসকেডি/পিআর
