জাতীয় পতাকা সদৃশ কার্পেট : জড়িতদের শনাক্তে বিমানের উদ্যোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

ব্যাংককে সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে বিমানের ভিআইপি কাউন্টারের সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সদৃশ কার্পেট বিছানোর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে উদ্যোগ নিচ্ছে বিমান প্রশাসন। জাতীয় পতাকাকে অবমাননাকর কার্পেট বিছানোর কারণে সমালোচনার মুখে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে জাতীয় পতাকার আদলে কার্পেট দেখে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে সমালোচনা ও বিরুপ মন্তব্য করছেন তারা। পরে বিষয়টি ভাইরাল হলে টনক নড়ে বিমান প্রশাসনের।

চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহনেওয়াজ কাকলী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘বিদেশের মাটিতে দেশ ও জাতির সম্মানকে উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশ বিমান! ঘটনাস্থল ব্যাংকক বিমানবন্দর। সেখানে বিমান এয়ারলাইন্সের পাপোশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের পাপোশ নেই। কারও এটি প্রয়োজন হয়নি। এর দায়ভার কার? সুহৃদরা কি একটু আওয়াজ দেবেন? কারা এগুলোতে পা মাড়িয়ে চলাচল করেন ইতোমধ্যে আপনারা বুঝে গেছেন। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’

মহিউদ্দিন মামুন নামের একজন লিখেছেন, ‘লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা বাংলদেশ বিমান কিভাবে পায়ের পাপোশ হিসেবে ব্যবহার করলো! কেন জাতীয় পতাকার এই অবমাননা? যে বা যারা এই আইডিয়া দিয়েছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’

বিমানের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী কেন্দ্রীয় প্রশাসনের প্রজেক্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক বিভাগ ছাড়াও মার্কেটিং বিভাগের অনুমোদন লাগে।

বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) এম মোমিনুল ইসলাম। তবে তিনি জিএম এডমিনকে এ বিষয় তদন্ত কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

সংশ্লিষ্ট প্রজেক্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আজিজুল ইসলাম জানান, বিদেশে বা আউট স্টেশনের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো কেনা-কাটার ক্ষেত্রে আমাদের কাছ থেকে কেবল অনুমোদন নেয়া হয়। কী মালামাল ক্রয় এবং ডিজাইন বা নমুনা কী হবে এর সবই নির্ধারণ করেন সে দেশের কান্ট্রি ম্যানেজার, স্টেশন ম্যানেজার ও ফাইন্যান্স ম্যানাজার দ্বারা গঠিত কমিটি।

এ বিষয়ে সবচেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্যাংককে পাঁচ মাস আগে বদলী হওয়া বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. নাজমুল হাসান। ব্যাংকক থেকে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের সব কিছুই হেড অফিস থেকে অনুমোদন নিতে হয়। আমরাও তা নিয়েছি। তবে সমালোচনার পর হেড অফিস থেকে নির্দেশনা দেওয়ায় আমরা কার্পেটটি সরিয়ে ফেলেছি।’

তবে স্পর্শকাতর এ বিষয়টির সঙ্গে বিমানের আর্থিক বিষয় জড়িত থাকলেও -এর দায়ভার নেয়ার প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

আরএম/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।