অনুমোদনহীন ৪ হাজার পানির জার ধ্বংস ও জরিমানা
রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন চার হাজার পানির জার ধ্বংস করার পাশাপাশি ১১টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও ঢাকা জেলা প্রশাসন।
সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা সিদ্দিকা বেগমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে মানহীন পানি সরবরাহ করায় উত্তর শাহজাহানপুরের মৌ ড্রিংকিং ওয়াটার, দক্ষিণ খিলগাঁওয়ের মীম ফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার, তেজগাঁওয়ের এভারেস্ট ড্রিংকস অ্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্টস লিমিডেট, শাহবাগের উইনার ফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার, পূর্ব গোড়ানের সেনসিবল বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেট, গেণ্ডারিয়ার ফিনকোয়া ওয়াটার কোম্পানি, খিলক্ষেতের আরিফা এগ্রো (প্রা.) লিমিডেট, টঙ্গীর ওয়ান ওএকে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, তোপখানা রোডের দিঘী পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার, গোপীবাগের আল হেরা এন্টারপ্রাইজ ও নারায়ণগঞ্জের ভূঁইগড়ের নোয়াখালী ফুড অ্যান্ড বেভারেজকে এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় চার হাজার পানির জার ধ্বংস করা হয়। বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ ও ২০০৩ (সংশোধিত) এর ক্ষমতাবলে এ জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানীতে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহকৃত ৯৭ ভাগ জারের পানিতে ক্ষতিকর মাত্রায় মলের জীবাণু ‘কলিফর্ম’ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের গবেষকরা।
এ বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি বিভাগের পরিচালক ড. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫টি পানির জার কোম্পানির পানি গবেষণার জন্য আমাদের গবেষক দল ২৫০টি নমুনা সংগ্রহ করেন। সেই গবেষণায় ঢাকার বাসাবাড়ি, দোকান, প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা ৯৭ ভাগ জারের পানিতে ক্ষতিকর মাত্রায় মানুষ ও প্রাণির মলের জীবাণু কলিফর্ম পাওয়া গেছে।’
এএস/বিএ