অপরাধী হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৮
ফাইল ছবি

দুর্নীতির দায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা-কর্মচারী ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের নিয়ে পুলিশের আইনানুগ ব্যবস্থার বাহিরে অন্যকিছু ভাবছেন না শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, তারা (গ্রেফতাররা) যদি অপরাধী হয় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

সোমবার সকালে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এমন মন্তব্য করেন। জাগো নিউজকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত সহকারী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী নাসিরকে কেন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে আমি জানি না। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে এডমিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা (গ্রেফতাররা) যদি অপরাধী হয় পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’

গতকাল রোববার শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. মোতালেব হোসেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) উচ্চমান সহকারী মো. নাসিরউদ্দিনকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। আরেক অভিযানে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে লেকহেড গ্রামার স্কুলের মো. খালেক হোসেন মতিনকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে এর আগে কোনো ধরনের অভিযোগ পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘না, এর আগে তার বিরুদ্ধে আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। তাই প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাকে অপরাধী বলতে পারি না।’ এর বেশি কিছু মন্তব্য করতে তিনি রাজি নন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনকে গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোহাম্মদপুরের বসিলা সড়ক থেকে ‘অপহরণ’ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার। এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডিতে বলা হয়, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বছিলা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে তুলে নিয়ে গেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বনানী থেকে উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিনকে ‘অপহরণ’ করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায়ও রাজধানীর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নাসিরের শ্বশুর আব্দুল মান্নান।

এমএইচএম/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।