রাজশাহী সিটির উন্নয়নে সংসদে বিল পাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৭ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

রাজশাহী শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ সংশোধন, পরিমার্জন ও যুগোপযোগী নতুন আইন প্রণয়নের বিধান করে সোমবার জাতীয় সংসদে ‘রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৮’ সংশোধিত আকারে পাস হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন নতুন দুটি সংশোধনীসহ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

বিলে উল্লেখিত অধ্যাদেশের অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যেন তা বিলের বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কার্যালয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় রাখার বিধান করা হয়। বিলে একজনকে চেয়ারম্যান করে ১৩ সদস্যের কর্তৃপক্ষ গঠনের বিধান করা হয়েছে।

বিলে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলী, কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী, কর্তৃপক্ষের সভা, পরামর্শ বা সহযোগিতা, কমিটি গঠন, মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প, মহাপরিকল্পনা সংশোধন, উন্নয়ন প্রকল্প সংশোধন, জনস্বার্থ অন্তর্বর্তী উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ভূমি ও ইমারত ন্যস্তকরণ, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি হস্তান্তর, কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যস্ত করা সরকারি রাস্তা, নর্দমা, চত্বর, ইমারত, ভূমি অথবা এর অংশ বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন কর ধার্যের ক্ষমতা, তহবিল, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, বার্ষিক বাজেট, কর্মচারী নিয়োগ, জনসেবক নিয়োগসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলের বিধান লঙ্ঘনে বিধি-নিষেধ, দণ্ডসহ সংঘটিত অপরাধের বিচার ও শাস্তি প্রদানে বিধান করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী, ফখরলি ইমাম, নুরুল ইসলাম মিলন, বেগম রওশন আরা মান্নান, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে ২টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এছাড়া সংসদে গতকাল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সংশোধন) বিল- ২০১৮ উত্থাপিত হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দুটি বিল উত্থাপন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এবং দু’টি সংশোধনীসহ রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল পাস করার প্রস্তাব করেন তিনি। পরে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১৮ উত্থাপন করেন। বিলে বিসিএসআইআর-এর গবেষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছরের বিধানটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। সব মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের গবেষকদের চাকরির বয়সসীমা সামঞ্জস্য করতে বিলে এ বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এইচএস/ওআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।