বিশ্ব যখন অস্থির, বাংলাদেশ সেখানে অনেক নিরাপদ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সারাবিশ্ব যখন অস্থির, বাংলাদেশ তখন অনেক নিরাপদ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘এদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের কাজগুলো করছে। সেজন্য আমরা সবকিছু কন্ট্রোলে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
রোববার সচিবালয়ে ডিজিটাল অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম এবং পর্যবেক্ষণ টাওয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছাকাছি জঙ্গি আস্তানা আবিষ্কার, দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা ভালো কাজ করছে। সর্বোপরি দেশের মানুষ এ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ চায় না। যেখানেই তারা এ জঙ্গিবাদের খবর পাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে গোয়েন্দাদের জানিয়ে দিচ্ছে। এ জন্যই আমরা মনে করি সারা বিশ্ব যখন অস্থির হয়ে গেছে, তখন বাংলাদেশ অনেক নিরাপদ আছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশপাশে তারা দু’একদিন আগেই গেছে আপনারা খবর পেয়েছেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ধরে ফেলেছি। পিএম কার্যালয় নয়, যে কোনোখানেই তো (জঙ্গিরা) যেতে পারে। পিএম কার্যালয়ের চতুর্দিকেই তো মানুষের যাতায়াত আছে। মানুষের বাড়িঘর আছে অফিস-আদালত আছে, সবই আছে। কাজেই সেখানে যাওয়া না যাওয়া...প্রশ্ন আসে আমাদের গোয়েন্দারা তাদের ডিটেক্ট করতে পেরেছে কিনা। পেরেছে বলেই তো আমরা ধরে ফেলেছি।’
‘আইন-শৃঙ্খলা মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী চলছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো আছে’ দাবি করেন মন্ত্রী।
গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানে তিন জঙ্গি নিহত হয়।
এদিকে প্রত্যাহার হওয়ার পরও জোর করে এক নারীকে বিয়ে করা ডিআইজি মিজান দু’জন সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন। পরামর্শ অনুযায়ী তারা ভাটরা থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু থানা গত তিন-চার দিনেও জিডি নেয়নি- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে তিনি (রিপোর্টার) এসেছিলেন, এসে তার অসহায়ত্বের কথা বলছিলেন যে, তাকে হুমকি দিয়েছে। আমি বলেছিলাম আপনি একজন নাগরিক হিসেবে জিডি করতে পারেন। এক্ষুুনি গিয়ে ডিজি করুন এ সমস্ত কিছু বলিনি।’
জিডি তো নিচ্ছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা আমরা দেখব। কেন নেয়নি সেটা আমরা দেখব।’
আরএমএম/বিএ/পিআর