ঘন কুয়াশা-তীব্র শীতেও মুসল্লিরা ইজতেমামুখী

আবু সালেহ সায়াদাত
আবু সালেহ সায়াদাত আবু সালেহ সায়াদাত , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

ঘন কুয়াশা, ঠান্ডা বাতাস, কনকনে শীত। এরই মাঝে তুরাগতীরে লাখো মানুষের জমায়েত। চলছে বয়ান, জিকির-আসকার, ইবাদত-বন্দেগি। কনকনে শীত উপেক্ষা করে মুসল্লিদের স্রোত এখন ইজতেমা ময়দানমুখী।

আজ (রোববার) বেলা ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এবারের মোনাজাত হবে বাংলায়, পরিচালনা করবেন মাওলানা মো. জোবায়ের। এর আগে চলছে হেদায়তি বয়ান। পরিচালনা করছেন মাওলানা আব্দুল মতিন। গত শুক্রবার ফজরের নামাজের পর শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দফা।

ijtema1

টঙ্গীতে তুরাগ নদের পারে ইজতেমা মাঠে লাখো মানুষের ভিড়। এছাড়া আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সবাই ছুটছেন তুরাগপারে। ইজতেমা উপলক্ষে রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ থাকায় সবাই পায়ে হেঁটেই পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। শীত, ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে দলে দলে মুসল্লিরা যাচ্ছেন পায়ে হেঁটে, পাঞ্জাবি-টুপি পরে সেই সঙ্গে কারও কারও হাতে জায়নামাজ, তসবিহ। তাদের লক্ষ্য আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়া।

ijtema1

সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে খিলক্ষেত হয়ে তুরাগপারের পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন। তিনি বললেন, আমরা ১৩ জন একসঙ্গে যাচ্ছি, যাত্রাবাড়ী থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত বাসে এসেছি। এরপর থেকে সব গাড়ি বন্ধ থাকায় এখন পায়ে হেঁটেই যেতে হচ্ছে, যতদূর যাওয়া যায় এরপর যেখানে যেতেই মোনাজাত শুরু হবে সেখানেই বসে মোনাজাতে অংশ নেব। লাখ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিলে মনের আলাদা প্রশান্তি কাজ করে, তাইতো তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটেই আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে যাচ্ছি।

Istema

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন আরেক মুসল্লি আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ইজতেমায় দেশ-বিদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। সবাই মিলে দোয়া করেন। আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। তাই ইজতেমায় এলে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। সেই সঙ্গে মনে শান্তি লাগে।

ইজতেমার ময়দানের বাইরে অবস্থানকারী মুসল্লি এলাকাবাসী, পথচারীদের মোনাজাতে শরিক হতে ইজতেমা ময়দানের বাইরে আশেপাশের এলাকায় শতাধিক মাইকের সংযোগ দেয়া হয়েছে। যেন মুসল্লিরা যে যার অবস্থান থেকে মোনাজাতে অংশ নিতে পারেন।

ijtema1

প্রথম পর্বের ইজতেমায় ৫০টি দেশের আট হাজার এবং দেশের ১৪টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়া মুসল্লির সংখ্যা হিসাব করলে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।

চার দিন বিরতির পর আবার ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।

এএস/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।