ফ্ল্যাট হস্তান্তরে গড়িমসি : দাম বাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

২০ বছর পার হলেও বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাট হস্তান্তরে গড়িমসি ও হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে ফ্ল্যাটের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে শর্ত ভঙ্গ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মোহাম্মদপুর এফ ব্লক মালিক সমিতি। এর আগে ১৯৯৭ সালে মোহাম্মদপুর এফ ব্লকে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষদের আবাসন সংকট নিরসনে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সহজ কিস্তিতে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্চে মোহাম্মাদপুর এফ ব্লকের ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানানো হয়।

আয়োজক সমিতির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান সেলিম বলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ যদি শিগগির ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজন হলে সবাই এক একটা করে মামলা করবে। আগের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত এক টাকাও দেব না। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের আবাসন সংকটের কথা বিবেচনা করে মোহাম্মদপুর ‘এফ ব্লকে’বিভিন্ন আকারে প্লট বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গৃহ সংস্থান অধিদফতর আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আমরা স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকজন যথাযথ জামানতসহ আবেদনপত্র দাখিল করি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও জাতীয় গৃহায়ণ অধিদফতর এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

২০০১ সালে ক্ষমতার পালা বদলে পরবর্তী সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনিহা প্রকাশ করে। ২০০৯ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রে অধিক সংখ্যক আবাসনের সুবিধার্থে প্লটের পরিবর্তে বহুতল ভবন নিমার্ণ করে ফ্ল্যাট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই অনুযায়ী জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালে আবেদনকারীদের কাছ থেকে ফ্ল্যাটের সম্মতি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তখন সিঁড়ি লিফট ও লবির জন্য আলাদা করে কোনো মূল্য নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল না।

বক্তারা বলেন, আবেদনপত্রগুলো যাচাই বাছাই করে লটারির মাধ্যমে ৯০০ জন আবেদনকারীকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ফ্ল্যাটের জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ভবন সমাপ্তির পথে। বাকিগুলোর কাজ একেবারে বন্ধ। ভবনগুলোর কাজ কবে শেষ হবে তাও অনিশ্চিত। ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি যে, ফ্ল্যাটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর এ ব্লক ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জালাল উদ্দিন, সদস্য সচিব মো. আতাউর রহমান, সদস্য ফারুকুজ্জামান, ইফতেখার প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এএস/ওআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।