ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেবে’ মন্ত্রণালয়
অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে এক নারীকে বিয়ে করার অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহারের পর তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তারই এক সহকর্মী।
পুলিশের ওই ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেবে।
এর বেশি কোনো তথ্য তিনি দেননি।
ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, মিজানের অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যত বড় কর্মকর্তাই হোন না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি যদি এমন গর্হিত কাজ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একটি জাতীয় দৈনিকে এক নারী বলেন, পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের কাছে তার বাসা। গত বছরের জুলাইয়ে সেখান থেকে কৌশলে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডে মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল তাকে।
ওই নারীর দাবি, আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মা’কে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখেন আগে থেকেই বিবাহিত মিজান।
ওই নারীর অভিযোগ, কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি তোলার পর ক্ষিপ্ত হন মিজান। ভাঙচুরের ‘মিথ্যা’ একটি মামলা দিয়ে তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলা করানো হয়।
ওই মামলাতেও জামিনে বেরিয়ে এসে ডিআইজির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ওই নারী।
একই দৈনিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টিভি উপস্থাপিকার জীবন এ ডিআইজি বিষিয়ে তুলেছিলেন বলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এআর/এনএফ/আরআইপি