আলোচিত ৫ জানুয়ারি আজ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৮
ফাইল ছবি

আজ ৫ জানুয়ারি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ২০১৪ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় এবং তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করে। দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপি-জামায়াত জোট ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে।

২০১১ সালের ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে জাতীয় সংসদে সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয়। তখনকার প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার শরিক জোটগুলো এরপর থেকেই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। দাবি পূরণ না হওয়ায় বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন প্রতিহত করতে মাঠে নামে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনে মানুষ হত্যা, লাগাতার অবরোধ-হরতালে পেট্রলবোমা, বাসে-ট্রেনে আগুন, ট্রেনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলা, ১১১টি ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া, নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনতাইসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটে।

দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩৪টি আসনে বিজয়ী হয়। জাতীয় পার্টি ৩৪টি এবং আওয়ামী লীগের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ৬ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ৫টি আসনে বিজয়ী হয়ে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন করে।

দিনটি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। ওইদিন নির্বাচন না হলে মার্শাল ল হতো বাংলাদেশে। দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়তো। ওইদিন নির্বাচন না হলে দেশে গণতন্ত্র থাকতো না। বাংলাদেশের অবস্থা থাইল্যান্ডের মতো হতো। আমরা কোথাও কোনো সভা সমাবেশ করতে পারতাম না। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল বাধাকে অতিক্রম করে বাংলাদেশর গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই আমরা এই দিবসকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসাবে পালন করবো।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছে। অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। নির্বাচিত ব্যক্তিরাই দেশ পরিচালনা করবে- এ পদ্ধতি নিশ্চিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন আজ (৫ জানুয়ারি) দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসাবে পালন করবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সংগঠনের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে বিজয় র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য দেশের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এফএইচএস/আরএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।