অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা
টানা পাঁচদিন ধরে অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষক কর্মচারীরা। এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের মুখপাত্র শফিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম হোসেন এ তথ্য জানান।
এমপিওভুক্তির দাবিতে তীব্র শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে গত ১০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, অসুস্থ শিক্ষকদের মধ্যে ফেডারেশনের সভাপতি মাহমুদুন্নবী এবং সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণও রয়েছেন। তবে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। তারা অনশনরত শিক্ষকদের সঙ্গেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম হোসেন বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ঠাকুরগাঁয়ের তসলিম উদ্দিন, পিরোজপুরের আব্দুস সালাম, পটুয়াখালীর হেমায়েত উদ্দিন ও ভোলার ফজলুল হক ফিরোজ।’
অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণার দাবিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এমপিওর ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে আমরা কেউ বাড়ি যাব না।’
এর আগে নন-এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বুধবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, বুধবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে তারা আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবেন। তবে শিক্ষক সমিতির এই দাবির সঙ্গে দ্বি-মত পোষণ করেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন, তারা রাজপথে অনশনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করবেন।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। আমরণ অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিভিন্ন সময়ে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন এই একই দাবিতে। তা সত্তে¡ও ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অথবা বাড়তি ভাতার ব্যবস্থা করতে কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি। তাই আবার রাজপথে নেমেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে তারা অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তারা আমরণ অনশন ধর্মঘট পালন করছেন।
এমএইচএম/জেইউ/এমবিআর/আরআইপি