বিমান শ্রমিকদের আন্দোলনে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা ব্যাহত
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলন করছেন বিমানের ক্যাজুয়াল (চুক্তিভিত্তিক) শ্রমিক ও সিবিএ নেতারা। বিমানের প্রধান কার্যালয়ে বলাকা ভবনের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে আন্দোলন করছেন তারা। অধিকাংশ শ্রমিক এখন বলাকা ভবনের সামনে লাল কাপড় মাথায় বেধে স্লোগান দিচ্ছেন। ফলে বন্ধ হয়ে আছে বিমানের এয়ারপোর্ট সার্ভিসের সব ধরনের সেবার কার্যক্রম।
বিমানের একজন ডিজিএম নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, এক ঘণ্টা ধরে বিমানের হ্যান্ডেলিং সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বিমানের ট্রাফিক বিভাগের এয়ারপোর্ট সার্ভিসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। অামাদের সিনিয়র কর্মকর্তারা আন্দোলনরত শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে বিমানের পরিচালক প্রশাসন এম মোমিনুল ইসলামের দফতরে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ফোন দেয়া হলে তিনি জানান, আমি দুই দিনের ছুটিতে আছি। ক্যাজুয়াল (চুক্তিভিত্তিক) শ্রমিকরা নিয়ম ভাঙলে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।
চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের অভিযোগ, অস্থায়ী হলেও স্থায়ী শ্রমিকদের চেয়ে তাদের বেশি কাজ করতে হয়। ২৫ বছর ধরে চাকরি করলেও অনেকে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। একজন ক্যাজুয়াল শ্রমিক দিনে হাজিরায় ৫০০ টাকা মজুরি পান। ছুটিতে বা কর্মস্থলে হাজির না থাকলে কোনো মজুরি নেই। স্থায়ী শ্রমিকদের মতো সুযোগ-সুবিধা নেই। মারা গেলে দাফনের টাকা কিংবা লাশ বহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খরচ পর্যন্ত পাওয়া যায় না বিমানের কাছ থেকে।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্য়দের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মুহাম্মদ ইনামুল বারী বলেন, কেবল অস্থায়ী শ্রমিকদের সমস্যাই নয়, সাত আট বছর ধরে বিমানে বদলি ও পদোন্নতি বন্ধ ছিল। আমরা ওই অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্ঠা করে যাচ্ছি।
আরএম/এআরএস/পিআর