ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় : ভোগান্তিতে যাত্রীরা
দীর্ঘ লাইন ভোগান্তি আর অপেক্ষার পর টিকিট পেয়ে এবার ঘরে ফেরার পালা। কিন্তু ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে এখানেও ভোগান্তির শিকার সাধারণ যাত্রীরা। সঠিক সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার প্রহর গুণছেন যাত্রীরা।
বুধবার কমলাপুর স্টেশনে এসে দেখা গেছে, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে স্টেশনের যাত্রীরা বসে আছে। এর মধ্যে কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে সম্ভব্য সময় দিয়েছে। তবে এ সময়ে ছাড়বে কিনা এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার সকালে ১২ থেকে ১৫টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বেশি দেরি করেছে।
মহানগর ট্রেন ছাড়ার কথা সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট পরে ছেড়েছে ৮টা ৫০ মিনিটে। সুন্দরবন সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ৭ টা ৫০ মিনিটে। যমুনা ৮টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ৮টা ৪৫ মিনিটে।
আর চাপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা কিন্তু তা পরিবর্তন করে সম্ভব্য সময় দেওয়া হয়েছে ১টা ২০ মিনিট। ১১টায় ছাড়ার কথা চট্টলা এক্সপ্রেস কখন ছাড়বে তার কোনো সম্ভাব্য সময় দেয়া হয় নাই।
চাপাইনবাবগঞ্জগামী এক যাত্রী আব্দুল কাদের জাগোনিউজকে জানান, নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগের স্টেশনে এসেছি। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার সম্ভব্য সময় দেওয়া হয়েছে ১টা ২০মিনিট। তবে এ সময়ে ছাড়বে কিনা জানি না।
চট্টগ্রামের যাত্রী মোনায়েম জানান, ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছি। ১১টায় ছাড়ার কথা কোনো ট্রেনের কোনো খবর নেই। কখন ট্রেন আসবে কখন ছাড়বে কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগোনিউজকে বলেন, কয়েকটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে তবে এগুলোর বেশিভাগ লোকাল ট্রেন। এগুলো আগেরও বিলম্ব হত। এখন আমরা বিলম্বের সময় কমিয়ে আনছি। তবে পরবর্তিতে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হবে না বলেও জানান তিনি।
যাত্রীরা যেন ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে না উঠে এ পরামর্শ দিয়ে রেল ম্যানেজার বলেন, ঈদ মানে আনন্দ আর এ আনন্দ যেন কষ্ট না হয়। যাত্রীদের ভোগান্তি ঠেকাতে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি এবার ঈদে যাত্রীদের বাড়ি যাওয়া আবার ফিরে আসতে কোনো সমস্যা হবে না।
এর আগে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক দাবি করেছেন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখতে রেলওয়ের কর্মকর্তারা প্রস্তুত রয়েছেন। আমরা আমাদের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী শতকরা একশ ভাগ সেবার দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আশা করি এবার ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হবে না।
ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের বিধিমালায় বলা আছে ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠা সম্পূর্ণ নিষেধ। এ ব্যাপারে রেলওয়ের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া আছে, যাতে কোন যাত্রী ছাদে উঠতে না পারে। ট্রেনের ছাদে যেন যাত্রী না ওঠে সে জন্য শতকরা ২০ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসআই/এসকেডি/এমএস