গাজীপুরে প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যার ৫ দিন পর প্রেমিকার আত্মহত্যা


প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৫

গাজীপুর মহানগরীর হাতিমারা এলাকায় প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা পারভীন আক্তার (১৫)। সে স্থানীয় হাতিমারা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবার নাম হামিদুল ইসলাম। মেয়ের প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বাবা হামিদুল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরীর হাতিমারা এলাকায় গত ৯ জুলাই মেয়ের প্রেমিক তারেককে তাদের বাড়িতে ডেকে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন প্রেমিকার বাবা হামিদুল ইসলাম। এ ঘটনার জের ধরেই প্রেমিকা পারভীন আক্তার সোমবার রাতে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার সকালে পারভীনের মা ঘরের দরজা খুলতে পারভীনকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু পারভীন ঘরের দরজা না খুললে তার সন্দেহ হয়। পরে অন্য ঘরের দরজা ভেঙে পারভীনের ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে জয়দেবপুর থানার পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

হাতিমারা এলাকার হামিদুল ইসলামের মেয়ে হাতিমার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারভীন আক্তারের সঙ্গে সম্প্রতি একই এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে একই স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র তারেক ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত মাসে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রেমিকার বাবা হামিদুল ইসলাম জয়দেবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ তারেকের বড় ভাইকে গ্রেফতার করে। এ খবর পেয়ে তারেক তার প্রেমিকা পারভীনকে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেয়। পরে গত ৮ জুলাই রাতে প্রেমিকার বাবা তারেককে তার বাড়িতে ডেকে নেন। এসময় ওই ছাত্রী পারভীন ও তার মা শিরিন আক্তারকে পাশের একটি কক্ষে আটকে রেখে তারেককে তার  সহযোগীদের নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে মুখে বিষ ঢেলে মূমুর্ষু অবস্থায় তাকে ওই এলাকায় একটি মসজিদের পাশে ফেলে রাখেন। পরে তারা তারেকের স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে তারেকের স্বজনরা তারেককে উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৯ জুলাই জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জয়দেবপুর থানাধীন চক্রবর্তী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, প্রেমিক তারেককে হত্যার ঘটনায় সে তার পিতার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। এ ঘটনায় প্রেমিকা পারভীন ক্ষুব্ধ হয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
                
মো. আমিনুল ইসলাম/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।