সুখী জীবনের গোপন রহস্য
একঘেঁয়ে জীবনে একটু পরিবর্তন আনলেই পাওয়া যাবে সুখ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা অন্তত এমনই। তারা বলেছেন, বদল আনতে হবে ব্যস্ত লাইফস্টাইলে। ব্যালেন্স রাখতে জানতে হবে প্রফেশনাল ও পারিবারিক বিষয়গুলির ব্যাপারেও। তাই জীবনে সুখী হতে চাইলে এখনই ত্যাগ করুন অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলি।
- অন্যরা আপনার সম্পর্কে যেসব কথা বলেন বা ধারণা করেন সেইসব নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
- নিজেকে ভালোবাসুন। দেখবেন আপনা আপনি সব সমস্যা দূরে সরে যাবে। নিজের যেটা পছন্দের কাজ বা আগে ভালোবেসে করতেন, কিন্তু এখন আর সময়ের অভাবে করতে পারছেন না, সেই কাজগুলি করার চেষ্টা করুন। নিজের অসাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অভ্যাস ও গুণাবলীর জন্য নিজেকেই অভিনন্দন জানান।
- অন্যের কথা শুনে পথ চলবেন না। এতে আপনার লাভের থেকে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তার থেকে বরং নিজে যেমন আছেন তেমনই থাকুন। তাঁরা আপনাকে যেমন চাইছেন, সেইমতো নিজেকে একটু মেকওভার করা যেতেই পারে।
- মানুষ সুন্দর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। তাই রোজ স্বপ্ন দেখুন। সেই স্বপ্নগুলি দেখেই আপনি নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন আপনা থেকেই।
- কোনও কিছুর ফলাফল নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন না। যে কাজগুলি করছেন, সেগুলি মন দিয়েই করুন। এতে আপনার ভালোই হবে। যে কাজে ব্যর্থ হয়েছেন, সেই ব্যর্থতা নিয়ে নয়, কাজ অর্জন করা নিয়ে নিজেকে উত্সাহিত করুন।
- কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। তাই যে কোনও কাজই পরিশ্রমের সঙ্গে করুন। প্রতি মুহুর্তে নিজেকে আবিষ্কার করুন। দেখবেন। আগের তুলনায় অনেকটাই বদলে গেছেন আপনি। হয়তো আপনার সৃজনশীলতা দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।
- অন্যের সঙ্গে তুলনা করার মতো বদ অভ্যাস বন্ধ করে দিন। কারণ, অন্যের সঙ্গে আপনার তুলনা আসে না।
- অন্যের সাফল্যকে নিজের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে নেবেন না। কারণ এতে আপনি সীমাবদ্ধতার ঘেরাটোপে পড়ে যাবেন।
- শরীরের চাহিদাও আপনাকে পূরণ করতে হবে। তাই শরীরের জন্য যা যা প্রয়োজন সেইগুলি নিয়মিত করতে থাকুন। যেমন, সকালে উঠে যোগা বা ব্যায়ম, খাওয়া, ঘুম, নির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি।
- জীবনে যেটা পেয়েছেন, বা পাচ্ছেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন। এই ব্যাপার নিয়ে বিবাদ না করাই ভালো।