শিক্ষা কেউ কেড়ে নিতে, চুরি করতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৫৩ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের সব শিশুকেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। শিক্ষা এমন একটি সম্পদ যা কেউ কেড়ে নিতে, চুরি করতে পারে না।

তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, দেশকে ভালোবাসতে হলে লেখাপড়া শিখতে হবে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তোমাদের মধ্য থেকেই কেউ ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হবে। এক সময় তোমরাই এই দেশ চালাবে।

শনিবার সকালে গণভবনে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতি শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে, সম্মান নিয়ে বাঁচবে, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সে জন্য স্বাধীনতার পরই তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করেছেন। শিক্ষাকে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশের সব শিশুকেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, জীবনের একমাত্র সম্পদ হলো শিক্ষা যা কেউ তা কেড়ে নিতে পারে না, চুরি করতে পারে না। ছেলে-মেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হলে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

বিএনপির আমলে পাসের হার না বেড়ে কমেছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতা ছেড়ে দেই তখন পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সে হার আরও কমে যায়। ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত শিক্ষা অন্ধকারের যুগে ছিল। ২০০৯ সালে এসে দ্রুত শিক্ষার হার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেই। বর্তমানের হিসাব অনুযায়ী শিক্ষার হার ৭২ শতাংশ। তবে বাস্তবে আরও বেশি হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।

সরকারি সূত্র জানায়, এ বছর সারাদেশে চার কোটি প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি, দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠী এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। এই শিক্ষাবর্ষে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ার ফলে অতিরিক্ত ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬৯টি পাঠ্যবই মুদ্রণ করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ’ সরকারের ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া কমেছে এবং বিদ্যালয়গুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তারা বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্যোগকে শিক্ষাখাতে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন, কারণ এতে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে উৎসাহিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করেছে।

এফএইচএস/বিএ/এআরএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।