বার্লুসকোনিকে দেওয়া সময় নিয়ে কলগার্লের সিনেমা!


প্রকাশিত: ০৫:০৫ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৫

ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির প্রকাশ্যে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলার জন্য  সুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রেম ও যৌন জীবনের অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করতে নানান আইনি জটিলতার মুখোমুখিও হয়েছেন তিনি। ইতালির সাবেক ও প্রভাবশালী এ প্রধানমন্ত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের দায়ে বর্তমানে কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তবে এবার বার্লুসকোনির সেই সব সময়ে কাটানো অভিসারের রোমাঞ্চকর স্মৃতি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চাইছেন এক প্রথম শ্রেণীর পতিতা।  খবর দ্য ইন্ডিপিন্ডেন্ট।

খবরে বলা হয়েছে, প্যাট্রিসিয়া ডি আডারিও (৪২) নামের সে  দেশেরই এক প্রথম শ্রেণীর পতিতা এক সময় প্রায় সারাক্ষণই ছায়াসঙ্গীর মতো থাকতেন বার্লুসকোনির সঙ্গে। অথচ তাকেই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত করেছেন বার্লুসকোনি। রোমের উঁচু তলার ব্যবসায়ীদের কাছে রূপসী-লাস্যময়ী-আবেদনময়ী ছদ্মনামে পরিচিত আডারিওকে নিয়ে দিনের পর দিন ‘অন্তরঙ্গ মুহূর্ত’ কাটিয়ে কানাকড়িও দেননি বার্লুসকোনি। এ অবিচারের প্রতিশোধ নিতেই ঘটনাবহুল সেসব দিনগুলো নিয়ে সিনেমা বানাতে চাইছেন আডারিও।

তার ইচ্ছে, আনন্দঘন সেই দিনগুলো মানুষ মনে রাখুক। আর এজন্যই নিজের সে দিনগুলোকে রূপালি পর্দায় ফ্রেমে বন্দি করতে চান তিনি। শুক্রবার রোমের একটি আদালতে বার্লুসকোনির বিরুদ্ধে লেখা ছয় পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র পড়ে শোনানোর সময় এসব কথা বলেন আডারিও।

আডারিও আরও বলেন, বার্লুসকোনি তার জীবনের সর্বনাশ করেছে। এখনই তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার উপযুক্ত সময় তার (বার্লুসকোনি)।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, শারীরিক চাওয়া চরিতার্থ করতে প্রায়ই মন ভোলানো মিষ্টি কথায় আডারিওকে পটাতেন বার্লুসকোনি। আমি নয়, অন্য পাঁচ পতিতার কাছেও টাকার গুদাম হিসেবে ব্যাপক নামডাক রয়েছে বার্লুসকোনির। পকেট খসিয়ে খুশিও করেছেন তাদের। ইতালির সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে এ অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আডারিওকে তিনি চিনেনই না।

দি টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী গিয়ানপাওলো তারান ইতালির রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পতিতা সরবরাহ করে। ২০০৯ সালে প্রায় ২৬ পতিতাকে তিনি রাজনীতিকদের ভোগ বিলাসের জন্য ডেকে পাঠান বলে আদালতে দাবি করেছেন আডারিও।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের শেষ দিকে বার্লুসকোনির ব্যক্তিজীবন নিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী! আনন্দ উপভোগ কর’ নামের একটি বইও লিখেছিলেন আডারিও।

এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।