বিমানবন্দরে নিজস্ব জনবল ছাড়াই চলছে ‘রেড ক্যাপ’

রফিক মজুমদার
রফিক মজুমদার রফিক মজুমদার , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোর মতো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মানোন্নয়নে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে জনবল ছাড়াই চলছে এয়ারপোর্ট সার্ভিসের বিশেষায়িত ইউনিট ‘রেড ক্যাপ’।

গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ ইউনিটের স্থায়ী কোনো জনবল নেই। যেমনটি রয়েছে জিএসই, রেম্প, ট্রানজিট ইউনিটে। বিমানের গ্রাহক সেবা বিভাগের এয়ারপোর্ট সার্ভিস শাখার মোট ১৬ জন জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এ ইউনিট।

চার শিফটে কাজ সবাই ট্রাফিক বিভাগের লোক বলে জানা গেছে। বিমানের অ্যাপ্রোন সংক্রান্ত লোডিং-আপলোডিংয়ের পুরো প্রক্রিয়া সমন্বয় করে আসছে এ ‘রেড ক্যাপ’। বিমানের মোটর ট্রান্সপোর্ট এমটি বিভাগ থেকে একটি পরিত্যক্ত গাড়ি দিয়ে চলছে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের সেবা কার্যক্রম।

‘রেড ক্যাপ’ এর সেবার সব রিপোর্ট বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। পর্ষদের চেয়ারম্যান এ বিষয়ে সরাসরি দিক নির্দেশনাও দিয়ে থাকেন।

জানা গেছে, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি শিফটে চারজন করে মোট ১৬ জন বিমান কর্মকর্তা ‘রেড ক্যাপ’ সেবার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। যদিও বিমানের জনবল কাঠামোয় ‘রেড ক্যাপ’ ইউনিট ও তাতে কর্মরত জনবলের জন্যে কোনো পদ-পদবি এখনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মোহাম্মদ ইনামুল বারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘রেড ক্যাপ’ বিমানের এয়ারপোর্ট সার্ভিসের সার্বিক দিক ও বিভাগকে গতিশীল করেছে। তবে বিমানের লোকজন স্ব-স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলে ‘রেড ক্যাপ’ এর দরকার হতো না।

এই ইউনিটে স্থায়ী জনবল না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে বিমানে কোনো স্থায়ী জনবল বাড়েনি কিংবা কমেনি। যে কারণে এ ধরনের বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হলে স্বাভাবিক কারণে জনবল ধার করা লাগে। ‘রেড ক্যাপ’ এর ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ এ প্রসঙ্গে বলেন, গ্রাউন্ড সার্ভিসের মান উন্নত করতে রেড ক্যাপের মতো সেবা চালুর পাশাপাশি গত কয়েক মাসে বেশকিছু আধুনিক যন্ত্র ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে।

২০১৬ সালের নভেম্বরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলক রেড ক্যাপ সেবা চালু করা হয়, যার প্রেক্ষিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ৭৭ লাখ যাত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে বছরে প্রায় এক লাখ ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে এ বিমানবন্দর থেকে। ২০১৮ সালে এ বিমানবন্দরে যাত্রী ওঠা-নামার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ লাখ।

আরএম/এমআরএম/এসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।