অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১০ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

বেতন নির্ধারণের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আমরণ অনশনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের এ আমরণ অনশনের তৃতীয় দিনে সোমবার দুপুর পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাদের মধ্যে চারজনই নারী।

জানা গেছে, টাঙ্গাইলের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কাকলী দে আজ (সোমবার) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত ছায়ায় সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার সহকর্মীরা জানান, তিনি (কাকলী) প্রথম দিন (শনিবার) থেকেই অনশনস্থলে অবস্থান করছেন।

প্রায় একই সময়ে ঝালকাঠির উচ্চহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা প্রজ্ঞা লাবনী দীপাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকেও ছায়ায় সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। লাবনীও শনিবার থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন।

teacher-2

অসুস্থ হওয়া শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবু সাঈদ। তিনি বলেন, মূলত না খেয়ে থাকার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

অনশনস্থলে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছেন কুমিল্লা থেকে আসা সহকারী শিক্ষক রায়হান। তিনি বলেন, ‘আজকে (সোমবার) দুপুর পর্যন্ত মোট সাতজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষ।’ তবে তিনি সবার নাম ঠিকানা জানাতে পারেননি।

এর আগে গতকাল রোববার (২৪ ডিসেম্বর) অনশনস্থল থেকে জানানো হয়, শনিবার থেকে মোট ৩৩ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

teacher-3

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে এ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যোগ দিয়েছেন অনশন কর্মসূচিতে।

তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এই বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিতে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।

আরএমএম/জেএ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।