শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের অনশন চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৪ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

বেতন নির্ধারণের এক দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি তৃতীয় দিনের মতো চলছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক এ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না। এমনকি আগামী ১ জানুয়ারি বিনামূল্যের নতুন বই বিতরণ উৎসবেও তারা যোগ দেবেন না।

Teacher

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে শিক্ষকদের এ অনশন কর্মসূচি চলছে। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে এ অনশনে যোগ দিয়েছেন। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পাটি, পত্রিকা, পলিথিন বিছিয়ে পৌষের শীতের দুই রাত পার করেছেন ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ শিক্ষকরা।

শিক্ষক নেতারা জানান, অনশনে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকরা শুধু শনিবার শহীদ মিনারে অবস্থানের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেন। গতকাল রোববার শহীদ মিনার ছাড়ার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধও জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু অনড় শিক্ষকরা তাতে রাজি হননি। তবে আজ (সোমবার) অনশন স্থলে মাইক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।

Teacher

গতকাল রোববার বিকেলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী শিক্ষকদের আমরণ অনশনে এসে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তিনি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।

অনশনকারী শিক্ষকদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এই বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিতে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।

এ ছাড়া উন্নীত ধাপে প্রধান শিক্ষকরা যখন ৫৩ হাজার ৬০ টাকা স্কেলে বেতন পাবেন, তখন সহকারী প্রধান শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকদের প্রায় অর্ধেক ২৭ হাজার ৩০০ টাকা পাবেন বলেও জানান আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

আরএমএম/জেএ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।