জীবনে প্রথম ৩ টাকা বৃত্তি পেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

‘শিক্ষা জীবনে ৮ বছর বৃত্তি পেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর তার এ শিক্ষা বৃত্তি শুরু হয়েছিল মাত্র ৩ টাকায়।’ রোববার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ২০১৭ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে নিজের শিক্ষা জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে নির্দিষ্ট বৃত্তি ছিল। টাকাও তেমন ছিল না। যে টাকা দিত তা দিয়ে পুরো লেখাপড়ার খরচ হতো না। আমার ১৬ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষা জীবনের শেষ ৮ বছর বৃত্তি পেয়েছি। বৃত্তির শুরু হয়েছিল ৩ টাকা দিয়ে। এরপর ৪ টাকা, ৫ টাকা, ২০ টাকা ও সর্বশেষ ৪০ টাকা বৃত্তি পেয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় ছিল। একটি মেধার স্বীকৃতি, এটা অত্যন্ত বড় জিনিস; দ্বিতীয় বিষয়টি হলো আর্থিক সহায়তা। ডাচ-বাংলা ব্যাংক আর্থিক বিষয়টি বেশি মূল্য দেয়। মাসিক আড়াই হাজার টাকা দেয়। এ অর্থ দিয়ে যে কোনো একজন শিক্ষার্থী খরচ চালাতে পারে।’

মুহিত বলেন, ‘আল্লাহ মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বলেছেন। আশরাফ মানে সর্বোত্তম। এই সর্বোত্তম গুণের অধিকারী আমরা জন্ম থেকে হই না। রুচির বিকাশ করে, জ্ঞান আহরণ করে আশরাফের সম্মান অর্জন করতে হয়। আশরাফুল মাখলুকাত নিজের চেষ্টায় হতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদানে সরকার পরই তাদের (ডাচ-বাংলা ব্যাংক) অবস্থান। তবে বৃত্তির অর্থের পরিমাণ আমরা (সরকার) ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতো করতে পারিনি। সে হিসেবে এ ব্যাংকটি আমাদের চেয়ে বেশি এগিয়েছে। এটা একটা দৃষ্টান্ত। তারা তাদের লভ্যাংশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগসহ অন্যান্য জনহিতকর কাজে ব্যয় করে।

এ সময় অর্থমন্ত্রী দেশের আর্থিক খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শিক্ষায় অবদান রাখতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

jagonews24

ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ২০১৭ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তিন হাজার ১৯ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্তরা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পূর্ণ শিক্ষাবর্ষে মাসে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন। এছাড়া পাঠ্য উপকরণের জন্য পাঁচ হাজার টাকা এবং পোশাকের জন্য এক হাজার টাকা করে বার্ষিক অনুদান পাবেন।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকসহ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডাচ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এমএ/আরএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।