নাড়ির টানে ঘরে ফেরা শুরু
ঈদকে সামনে রেখে নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। ঈদের আগমুহূর্তের ভিড় ও ঝামেলা এড়াতে নারী, শিশুসহ পরিবার-পরিজনদের আগভাগে বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। রোববার সকালে রাজধানীর বাস, রেল ও নৌ টার্মিনাল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আগেভাগে রাজধানী ছাড়ছেন তারা।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রী কিছুটা বাড়লেও তা আশানুরূপ নয়। গত কয়েকদিন ভারি বৃষ্টির কারণে কাক্সিক্ষত যাত্রীচাপ ছিল না। সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা বন্ধের পরই যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে স্বল্পদূরত্বের জেলাগুলোতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। দুএকদিনের মধ্যে গার্মেন্ট বন্ধ শুরু হলে যাত্রী উপস্থিতি আরও বাড়বে। তবে ভিন্নকথা বলছেন লঞ্চ মালিকরা।লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নৌচলাচল (যা-প) সংস্থার সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চে যাত্রী বেড়েছে তা বলা যাবে না। বৃষ্টির কারণে লঞ্চের স্বাভাবিকের মতোই যাত্রী রয়েছে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্শেদ জানান, এ টার্মিনাল থেকে এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রী উপস্থিত বেড়েছে।
এএইচ/পিআর