ফিরল উৎপল-মুবাশ্বার : আশায় বুক বাঁধছেন অন্য স্বজনরা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

দেড় মাস নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ড. মুবাশ্বার হাসান সিজার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বনশ্রীর বাসায় ফিরেছেন তিনি। তার দু’দিন আগে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরেন নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল দাস।

নিদারুণ উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় মাস দিন ঘণ্টা অতিবাহিত করার পর দু’দিনের ব্যবধানে নিখোঁজ থাকা শিক্ষক ও সাংবাদিক ফিরে আসায় আনন্দের বন্যা বইছে তাদের পরিবারে। এ আনন্দের রেশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সহকর্মী, বন্ধু, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের ফিরে আসার খবরে আসায় বুক বাঁধছেন নিখোঁজ থাকা অন্য হতভাগ্যের স্বজনরাও। তাদের অনেকেই এখন আশা করছেন বিলম্ব হলেও তাদের নিখোঁজ স্বজনরাও ফিরে আসবেন।

আজ (শুক্রবার) সকালে মুবাশ্বারের বোন তামান্না তাসমিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন- ‘আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে গতকাল রাত ১টায় আমার ভাইয়া সুস্থ অবস্থায় বাসায় ফিরেছে।’

গত ৭ নভেম্বর বিকেলে কর্মস্থল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বনশ্রীর বাসার উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর থেকে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন মুবাশ্বার হাসান সিজার। ওইদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন তিনি। পরে আর বাসায় ফেরেননি সিজার। এ ঘটনায় সিজারের বাবা মোতাহার হোসেন খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

মুবাশ্বারের ফিরে আসার সংবাদে ফেসবুক জুড়ে স্বস্তির খবর। মুবাশ্বারের ফিরে আসার খবরে দু’দিন আগে ফিরে আসা সাংবাদিক উৎপল দাস লিখেছেন ‘সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। প্রিয় সিজার ভালো থাকুন।’

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, ‘একইভাবে ফিরেছেন মোবাশ্বার, ফিরে আসুক অন্যরাও।'

আহমেদ জুয়েল নামে আরেকজন লিখেন, ফিরে এসেছেন সিজার ভাই। এর আগে ফিরেছেন উৎপল দাস। এরপর থেকে অপেক্ষায় ছিলাম সুখবরের। সব নিখোঁজ মানুষ ফিরুক স্বজনদের মাঝে।

রুকসানা ইয়াসমিন তিথি লিখেছেন ‘অবশেষে সিজার ফিরে এসেছে। এরচেয়ে শুভ সকাল আর কি হতে পারে।’ এমনি নানা শুভ কামনায় ফেসবুক নিউজফিড জুড়ে।

এমইউ/জেএইচ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।