পাইওনিয়ার ডেন্টালে নেপালি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী নেপালি নাগরিক বিনিশা শাহ আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার কোনো এক সময় রাজধানীর ভাটারা থানাধীন মেডিকেল কলেজটির হোস্টেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

ভাটারা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিনিশা শাহ পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজের ২২তম ব্যাচের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মঙ্গলবার তার টার্ম-২ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা আগেই খাতা জমা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান এবং হোস্টেল কক্ষে গিয়ে আত্মহত্যা করেন।

jagonews24

বিনিশা শাহ’র সহপাঠীরা জাগো নিউজের কাছে জানান, শিক্ষক ও কলেজ কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত চাপেই বিনিশা শাহ আত্মহত্যা করেছেন।

নাম প্রকাশ না করে তারা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ টার্ম-২ পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র আটকে রেখে দুই লাখ টাকা করে দাবি করে। পরে যার কাছে যেমন পেরেছে টাকার বিনিময়ে প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করেই টার্ম-২ পরীক্ষা কঠিন করে এবং ফেল করায়। পরে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে কৃতকার্য করানো হয়।

আজও টার্ম-২ পরীক্ষা কঠিন করা হয় এবং আধাঘণ্টা আগেই বিনিশা শাহ পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করতে চাইলে শিক্ষকরা বকাবকি করেন। সহপাঠীদের অভিযোগ, বিনিশা শাহ হয়তো সে ভয়েই আত্মহত্যা করতে পারেন।

jagonews24

গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার তার ট্রার্ম-২ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করলে শিক্ষকরা তাকে ধরে ফেলে, কিন্তু পরীক্ষা দিতে বারণ করেনি। বিনিশা নিজেই হল থেকে বেরিয়ে যান। হতাশা থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আমরা আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ক্রাইম সিন ইউনিট তার ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

জেইউ/এআর/আরএস/এএইচ/পিআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।