ছবি তোলার নেশায় চিতার মুখে!
ছবি আর সেলফি তোলার নেশায় কত কি যে ঘটছে! যেমন ঘটে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার সাফারি পার্কে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কারগা কাম্মা গেম পার্কে গিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী আর্চিবল্ড ও ভায়োলেট ডি`মেলো। পার্কের শান্তশিষ্ট চিতা বাঘের সঙ্গে সবাই ছবি তোলে। তারাও তুলছিলেন। স্বামীর হাতে ক্যামেরা। স্ত্রী চিতার পাশে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো। কিন্তু কখন যে এই আপাত নিরীহ দৃশ্যটায় ঢুকে পড়েছে রোমহর্ষক ট্যুইস্ট, আন্দাজ করতে পারেননি দু’জনের একজনও।
হঠাৎই ক্ষেপে আক্রমণ করে বসলো চিতা। চিতার মুখে স্ত্রী, এদিকে বিকার নেই স্বামীর। বরং, `সাহসী` স্ত্রীর দুঃসাহসী ছবি তোলার নেশাতেই তখন তিনি বুঁদ।
দক্ষিণ আফ্রিকার কারগা কাম্মা গেম পার্কে গেলে দেখা যাবে মার্ক ও মন্টিকে। রীতিমতো জনপ্রিয় এই দুই চিতা। কারগা কাম্মা পার্কে আসা পর্যটকেরা এদের সঙ্গে ছবি তুলতে পারলে আহ্লাদে আটখানা হন। চিতার সঙ্গে ছবি তুলতে উৎসাহিত করেন পার্কের কর্মীরাও। তারা তো বলেন, ওরা খুব ভালো। পোষা তো। কাউকে কামড়ায় না।
সেই ভরসাতেই স্কটিশ দম্পতি গিয়েছিলেন চিতার সঙ্গে ছবি তুলতে। ওই দিন আবার স্ত্রী ভায়োলেট ডি`মেলোর জন্মদিন ছিল। তাই, দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে একটু `সাহসী` হয়ে পড়েন তারা। ফটাফট কয়েকটা শট নেওয়ার মুহূর্তে, ঝাঁপিয়ে পড়ে মার্ক বা মন্টির মধ্যে কেউ একজন। পরপর কয়েকটা থাবা।
ঘটনার আকস্মিকতায় থম মেরে যান মহিলা। বেগতিক বুঝে, মরার ভান করে পড়ে থাকেন ফিনকি দিয়ে বেরোনো রক্তে। ভাগ্য ভালো, সাফারি পার্কের কর্মীরা ঠিক সময়ে চলে আসেন। তাই এ যাত্রায় রক্ষা।
আর আর্চিবল্ড ডি`মেলো, মানে ভায়োলেটের স্বামী তখন বেশ অপ্রস্তুত, `আমি ঠিক বুঝতে পারিনি আসলে কী ঘটতে যাচ্ছিল।` বুঝেছেন, ছবি তোলার নেশায় যে ভুলটা করে বসেছিলেন, তার জন্য বাকি জীবন আফশোসের শেষ থাকত না। অপরাধী হয়ে থাকতে হত।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে ভায়োলেট বললেন, `জানতাম, পশুরা মৃতদের ছোঁয় না। তাই মরার ভান করছিলাম।`
এসআরজে