দুর্যোগ-বার্তা প্রদানে সময়োপযোগী কৌশল বের করতে হবে : মায়া


প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৫

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম তথ্য ও সতর্কবার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে একটি টেকসই ও সময়োপযোগী কর্মকৌশল বের করতে হবে। তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশসমূহ পরস্পরের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম তথ্য ও সতর্কবার্তা আদান প্রদানের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কোটি কোটি জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা দিতে পারে।

শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে `রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (রাইমস)` শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে মন্ত্রী বাংলাদেশের চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ভারতের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নৃবিজ্ঞানবিষয়ক মন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নৃবিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ওয়াই এস চৌধুরী, নেপালের পরিবেশ ও জ্বালানিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ মজিদ, রাইমস্রে নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ড. শৈলেস নায়েক, ইউএনএসকাপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি সুন ইসি মুরাতাসহ সদস্যভুক্ত দেশসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বলেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া গেলে তখন পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা যাবে এবং এতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। আগাম সতর্কবার্তার আলোকে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করে বাংলাদেশে বিগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বন্যার পূর্বাভাস তিন দিনের স্থলে পাঁচ দিন পূর্বে প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় ও তিনটি বড় নদীর অববাহিকায় বসবাসরত প্রায় ৯ কোটি লোকের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা দিতে সক্ষম হয়েছে।

সম্মেলনে ২০১৬-২০২০ সময়ের মাস্টারপ্লান প্রণয়ন ও কর্মপন্থা ঠিক করা হবে। উল্লেখ্য, রাইমস্রে ১২টি সদস্য রাষ্ট্র ও ১০টি সহযোগী সদস্য রাষ্ট্র সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে।

বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।