অভিবাসী কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:২৪ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অভিবাসী নারী-পুরুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এ দিবস পালিত হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি অভিবাসী নারী-পুরুষের শ্রম সেসব দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করছে। অভিবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এখনও নানা ধরনের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জবরদস্তিমূলক শ্রম, শ্রমিকের মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবপাচারসহ নানা প্রকারের অপরাধ সংগঠিত হয় থাকে। এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আইওএম, আইএলও এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৭ উদযাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। দিবস উপলক্ষে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসরত অভিবাসীগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই জীবন ও জীবিকার প্রয়োজন ছাড়াও নানা কারণে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে অভিবাসী হয়েছে। মানব সভ্যতার বিকাশে অভিবাসন ও অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে নগরসভ্যতার সম্প্রসারণের প্রয়োজনে বৃহদাকার কর্মযজ্ঞে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়ও এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

এফএইচএস/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।