রোহিঙ্গাদের ত্রাণের জটিলতা নিরসনের আহ্বান
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ প্রকল্প অনুমোদনে জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতার অবসান চায় কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। ।
সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত আগস্ট মাসে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যখন কক্সবাজারে আসা শুরু করে সেই থেকে দেশি-বিদেশি এনজিওরা ‘এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর’জরুরি প্রকল্প (সর্বোচ্চ ২-৩ মাস মেয়াদি) হিসেবে অনুমোদন নিয়ে স্থানীয়ভাবে জেলা প্রশাসক এবং রিলিফ কমিশনারের তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কাজ করছে। এনজিও ব্যুরোর কর্মকর্তারা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন ও অবস্থান করে এতে সহযোগিতা করছেন।
কিন্তু নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রিভিশন বা পর্যালোচনা করে প্রকল্প অনুমোদন প্রস্তাবনা এবং নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা যা এফডি-৭ নামে পরিচিত তার অনুমোদন শ্লথ হয়ে যায়। আগের মতো বিধি অনুসারে সব ধরনের অনুমোদন দেয়া থেকে বিরত রয়েছে এনজিও ব্যুরো ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে এখন সব রোহিঙ্গা ত্রাণ সম্পর্কিত প্রকল্প প্রস্তাবনা দেশীয় এনজিও হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখার পূর্ব অনাপত্তি নিতে হবে। আর বিদেশি এনজিও হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই জায়গা থেকে অনাপত্তি নিতে হবে। কিন্তু নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো এনজিও অনাপত্তিপত্র পায়নি। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় ও স্থানীয় এনজিওরা ’।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, রিভিশন প্রকল্পগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদন করা না গেলে ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে ও এর সঙ্গে জড়িত ৩ থেকে ৪ হাজার কর্মীর বেতন দেয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি রোহিঙ্গা শিবিরে জঙ্গিবাদি কোনো তৎপরতা যাতে উৎসাহিত বা প্ররোচিত না হয়, সেজন্যই সরকার এনজিও প্রকল্পসমূহের জন্য পূর্ব অনাপত্তির অবতারণা করেছে। কিন্তু আমরা এ পর্যন্ত সেখানে কোনো জঙ্গিতৎপরতা দেখতে পাইনি। এর পক্ষে কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
এ সময় তিনি মানবিক কারণে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরামের কো-চেয়ারম্যান-আবু মোর্শেদ চৌধুরী, আইএসডির নাজির আহমেদ, এডাবের সমন্বয়ক একেএম জসিম, মোস্তফা কামাল আকন প্রমুখ।
এসআই/এমএমজেড/এমএস