লাগামহীন সবজির বাজার, মরিচের কেজি ১৬০ টাকা


প্রকাশিত: ০৬:৫৩ এএম, ১০ জুলাই ২০১৫

রমজানের শেষের দিকে লাগামহীনভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আগের বাড়তি দামে মাংস বিক্রি হলেও বেড়েছে সব ধরনের সবজি পেঁয়াজ ও মাছের দামও। মরিচের ঝাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকা, টমেটোর কেজি একশ টাকা। শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা ও খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।  

রাজধানীর কাঁচাবাজারে হু হু করে বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম। রমজানের শুরুতে যেখানে মরিচের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা রমজানের শেষ দশকে ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

কাঁচামরিচের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে মরিচের আবাদ কম হয়। এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহ বৃষ্টিতে কৃষকের মরিচ ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। ফলে চাহিদার তুলনায় মরিচের সরবারহ কমেছে। তাই দাম বেড়েছে। আর বৃষ্টি এভাবে চলতে থাকলে আরো দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে টমেটো বিক্রি করছে ৯০-১০০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি প্রকার ভেদে ২০-৩৬ টাকা দরে বিক্রি করছে। প্রতিকেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। এছাড়াও দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪৫-৪৮ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।

কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি সাদা আলু আগের সপ্তাহের তুলনায় তিন থেকে চার টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে ২৫-২৬ ও লাল আলু ৩২-৩৪ টাকা। করলা ৫০ টাকা, পটল ৪০-৪৪ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪২ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিচ ১৫-২০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ২৪-৩২ টাকায় বিক্রি করছে।

প্রতি আঁটি লাউ শাক ১৫-২০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ২০ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রমজানের অন্যতম উপকরণ ছোলা বিক্রি করছে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০, বুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা খেসারির ডাল প্রতি কেজি ৫২-৫৬ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৪ টাকা দরে। মুসুরের ডাল প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি মুসুরের ডাল প্রতিকেজি ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, মুগ ডাল প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রকার ভেদে কেজি প্রতি দেশি রসুন কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকা, মোটা রসুন ৯০-১২০ টাকা ও এক দানা রসুন ১৬০ টাকা, আদা ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসর বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, খাসির মাংস ৫৮০-৬০০ টাকায় এবং ছাগলে মাংস বিক্রি করছে ৪৮০ থেকে ৫৪০ টাকা।

এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় ও লেয়ার ১৯০ টাকা, কক মুরগি ২২০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি করছে।

ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ২৭-২৮ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৩৮-৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৩৫-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর খোলাবাজারে লিটার প্রতি বোটলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪-১০০ টাকায়।

রাজধানীর খুচরা মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি রুই ২৫০-৩০০ টাকা, বড় রুই ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকার ভেদে ৭০০-১৪০০ টাকা, পুঁটি ২২০-২৫০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫৫০ টাকা, শিং আকার ভেদে ৬০০-১২০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-২২০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৮০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি করছে ১০০০-১২০০ টাকায়।

এসআই/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।