কমলাপুরে দ্বিতীয় দিনেও উপচেপড়া ভিড়


প্রকাশিত: ০৬:২৪ এএম, ১০ জুলাই ২০১৫
ফাইল ছবি

প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও পবিত্র ঈদুর ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট কিনতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘুরে এরকম চিত্রই দেখা গেছে।

প্রত্যাশিত টিকিকের জন্য বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন হাজার হাজার টিকিট প্রত্যাশী। মঙ্গলবারের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতেই ভিড় করেছেন তারা।

জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিতরণ শুরুর কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও আগেভাগেই স্টেশনে এসে ভিড় করেছেন। অনেকে বলেছেন, ঈদের আগে সড়কপথে অনেক বেশি যানজট থাকে। আর তাই যাত্রাপথের ভোগান্তি এড়াতে আগেই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে এসেছেন তারা।

এদিকে টিকিট বিক্রির প্রথমদিন (বৃহস্পতিবার) কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসেছিলেন রেলমন্ত্রী মজিবুল হক। এছাড়া র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদও পরিদর্শনে এসেছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে টিকিট বিতরণ নিশ্চিত করতেই মূলত তারা পরিদর্শন করতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রামের যাত্রী হাসিনা আহমদ জানান, সেহরী খেয়ে তিনি টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সকাল ১০টায় প্রত্যাশিত টিকিট পেয়ে কষ্টের কথা ভুলে গেছেন তিনি।

কমলাপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম ও কালোবাজারি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
 
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বিক্রি হবে ১৪ জুলাইয়ের টিকিট, ১১ জুলাই ১৫ জুলাইয়ের, ১২ জুলাই ১৬ জুলাইয়ের এবং ১৩ জুলাই ১৭ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।
 
এছাড়া ঈদ পরবর্তী সময় রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।

১৬ জুলাই বিক্রি হবে ২০ জুলাইয়ের টিকিট, ১৭ জুলাই বিক্রি হবে ২১ জুলাইয়ের টিকিট, ১৮ জুলাই বিক্রি হবে ২২ জুলাইয়ের টিকিট, ১৯ জুলাই বিক্রি হবে ২৩ জুলাইয়ের টিকিট এবং ২০ জুলাই বিক্রি হবে ২৪ জুলাইয়ের টিকিট।
 
নিয়মানুযায়ী প্রতিটি ট্রেনের ৬৫ ভাগ টিকিট সাধারণ যাত্রীদের সরাসরি বিক্রির জন্য বরাদ্দ থাকবে। ভিআইপিদের জন্য পাঁচভাগ, রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঁচভাগ এবং বাকি ২৫ ভাগ ই-টিকিট ও মোবাইলে বিক্রির জন্য বরাদ্দ থাকবে।

কেবল নিজে ভ্রমণের জন্য ভিআইপি কোটায় টিকিট পাবেন ভিআইপিরা। একজন সংসদ সদস্য কোটা অনুসারে দুইটির বেশি টিকিট নিতে পারবেন না।

এমএম/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।