ব্যবসায়ীদের অভিভাবক ছিলেন আমজাদ খান চৌধুরী
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প পরিবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী ব্যবসায়ী সমাজের ভালো বন্ধু ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী সমাজের অভিভাবক ছিলেন। নতুন ব্যবসায়ীদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে কখনো কৃপণতা করেননি।
সদ্য প্রয়াত আমজাদ খান চৌধুরীকে নিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলেছেন দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা। বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ীর মৃত্যু সংবাদ শুনে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাড্ডার প্রাণ-আরএফএল সেন্টারে ছুটে আসেন তারা।
আমজাদ খান চৌধুরীর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ-আরএফএল সেন্টারে আসেন সাবেক ব্যবসায়ী নেতা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম-সহ অনেকে।
এ সময় আনিসুল হক বলেন, আমজাদ খান চৌধুরী ব্যবসায়ীদের ভালো বন্ধু ছিলেন। তাঁকে পরিচয় করানোর দরকার নেই। তিনি স্বনামে প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছোট বড় সবাইকে সহযোগিতা করতেন। আমাদের তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার ছিলো। তাকে হারানোর ক্ষতি সহজে পূরণ হবে না। একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটি আজ দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী গ্রুপ।
এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, আমজাদ খান চৌধুরী সব সময় আমাদের অভিভাবকের মতো উপদেশ দিতেন। ব্যবসায় নিজের দায়িত্ব নিজেই পালন করেছেন তিনি। আমাদের একই কথা বলতেন। তার দূর-দর্শীতার কারণে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এতো দূর এসেছে। তিনি আমাদের ব্যবসায়িক অভিভাবক।
এছাড়া দেশের এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলামসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। শোকের ছায়া নেমে এসেছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সকলস্তরের কর্মীদের মাঝেও।
উল্লেখ্য, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিকেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিক ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
শারীরিক অসুস্থতার জন্যে একমাস যাবৎ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমজাদ খান চৌধুরী স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
## রোববার দেশে আসছে আমজাদ খান চৌধুরীর মরদেহ
## আমজাদ সাহেবের মত মানুষদের মৃত্যু নেই
## আমজাদ খান চৌধুরীর পরিবারকে বিশিষ্টজনদের সমবেদনা
এসআই/এসএ/আরএস