রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ানের সমর্থন পেতে কাজ করবে কম্বোডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আগামী আসিয়ান বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলবে কম্বোডিয়া। কম্বোডিয়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি আমাদের পাশে থাকবেন। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোও যাতে বাংলাদেশের পক্ষে থাকে সেজন্য কাজ করবেন। একই বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপ দেবেন।

কম্বোডিয়া সফর শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক সমর্থন পাচ্ছি। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি, তিনি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো যাতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়, এজন্য তিনি নিজে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো মিয়ানমারের যেসব নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে তাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেউ হয়তো প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। তবে তারা কিন্তু কেউ এতগুলো মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে চলে আসছে তা ভালো চোখে দেখেনি। সবাই খুব সহানুভূতিশীল। সবাই চায় মিয়ানমারের নাগরিক মিয়ানমারে দ্রুত ফেরত যাক এবং মিয়ানমার ফেরত নিক।

‘কিছুদিন আগে আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারে গিয়েছিলেন। আলোচনা করে সেখানে স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটা তারা স্বীকার করেছেন, তাদের নাগরিককে তারা ফেরত নেবেন। এজন্য একটা জয়েন্ট কমিটি গঠন করা হবে। এ জয়েন্ট কমিটির মাধ্যমেই আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে’,- বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। সেহেতু আমরা চাই প্রতিবেশীর সঙ্গে সৎভাব থাকুক। সেখানে যে ঘটানগুলো ঘটেছে তা কখনো গ্রহণযোগ্য না, অনভিপ্রেত ঘটনা। আমরা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু অবশ্যই মিয়ানমারের নাগরিকদের তার দেশে ফেরত যেতে হবে। এটাই আমাদের আশা।

জেইউ/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।