৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এ ভাষণ তরুণ-যুবাদের থেকে শুরু করে এ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছিল।

আজ (শনিবার) সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের ঋণ‘ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আহ্বান সেদিন এদেশের ডান-বাম রাজনৈতিক দল, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শিল্পী-গায়ক, সংস্কৃতিকর্মী, কৃষক-শ্রমিক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। ৭ মার্চের ভাষণটিকে মূলত ৪টি ভাগে বিভক্ত করা যায়। প্রথম ভাগে ছিল বাঙালির নিপীড়নের ইতিহাস, দ্বিতীয় ভাগে পশ্চিম পাকিস্তানের দমননীতি, তৃতীয় ভাগে বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম এবং চতুর্থ ভাগে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সুস্পষ্ট নির্দেশনা।’

সেমিনারে বিশেষ উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফারজানা চৌধুরী।

প্রধান অতিথি বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল একজন মহামানবের জন্য- তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’

সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর জানতে পারেন জাতীয় আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা, সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, দুস্থ খেলোয়াড় ও শিল্পীদের ভাতা প্রদানসহ সব গুরত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।

তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত ও বিস্মিত হয়েছি যে, একজন রাষ্ট্রনায়ক কতখানি দূরদর্শী ও বিচক্ষণ হলে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নবগঠিত একটি দেশে এমন সুদূরপ্রসারী ও যুগান্তকারী পরিকল্পনা করতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করা আমাদের পবিত্রতম দায়িত্ব। আমরা যদি আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে পারি, তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের সভাপতি সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর।

এমইউ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।